একনজরে পুকুর বলে ভুল হতেই পারে। কিন্তু জলের মধ্যে মাঝে মাঝে উঁকি মারা ইট দেখে বোঝা যায় ওটা একটা রাস্তা! এমনই অবস্থা উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর-কল্যাণগড় পুর এলাকার পূর্ব বনবনিয়া ভগবতী বিদ্যামন্দিরের সামনের ২০০ ফুট লম্বা রাস্তাটির। রাস্তাটির সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় হাবরা-নগরউখড়া সড়কের গাঙ্গুলি মোড়ে একঘন্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো গ্রামবাসীরা। শুধু তাই নয় প্রতিবাদ আরও জোরালো করতে গ্রামবাসীরা ওই রাস্তায় পুঁতে দিলেন ধানের চারা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকার মানুষের কাছে ওই রাস্তাটি খুবই প্রয়োজনীয়। এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে ভগবতী বিদ্যামন্দির, কাজলা রবীন্দ্র শিক্ষানিকেতন, ও এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বহু বছর ধরে তাঁরা এই রাস্তাটি পিচ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। বেশ কয়েক বছর আগে এই রাস্তায় কিছু ইট ফেলা হয়েছিল। সেই শেষ! গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে রাস্তাটি প্রায় পুকুরে পরিণত হয়েছে। |
ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছে না। এই রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে ঘটছে অনেক দুর্ঘটনাও। কিন্তু প্রশাসনের কোনও ভ্রূক্ষেপই নেই। এদিনের পথ অবরোধ কর্মসূচিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সামিল হয়েছিল পড়ুয়ারাও। ভগবতী বিদ্যামন্দিরের শিক্ষক সুভাষচন্দ্র পাল বলেন, “ওই রাস্তাটি বহু বছর ধরে কাঁচাই রয়েছে। মাঝে মাঝে শুধু কিছু কিছু ইট ফেলা হয়।”
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার দীপ্তি তালুকদার বলেন, “এখন যাঁরা আন্দোলন করছেন গত ৩০ বছর তাঁরা কোথায় ছিলেন?” তার অভিযোগ, কয়েক বছর আগে রাস্তাটি পিচ করার জন্য ইটও ফেলা হয়েছিল, কিন্তু সিপিএমের বাধায় কাজ এগোয়নি। যদিও ওই পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা প্রাক্তন বিধায়ক সত্যসেবী কর জানান, “দীপ্তিদেবী যে সময়ের কথা বলছেন তখন তো সিপিএমই পুরসভার ক্ষমতায় ছিল। আমাদের অনুমতি না থাকলে উনি ইটটাই বা ফেললেন কী করে?” তিনি আরও জানান আগে ওই এলাকা (১ নম্বর ওর্য়াড) পঞ্চায়েতের অধীন ছিল বলে রাস্তা তৈরিতে সমস্যা ছিল। অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর দত্ত বলেন, “দু’একটি রাজনৈতিক দলের মদতে এদিনের বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। গত ৩৪ বছর এঁরা কোথায় ছিলেন? ওই রাস্তাটি পিচ করার জন্য ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্ষার পরেই কাজ শুরু করা হবে।” |