এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে খুন করার অভিযোগে নোজ সাহাজি নামে নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বসিরহাট থানার উত্তর বাগুন্ডি গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে একটি স্কুলের মধ্যে লুকিয়েছিল সে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৬ অগস্ট, রবিবার দুপুরে উত্তর বাগুন্ডি গ্রামে গণপ্রহারে মৃত্যু হয় বজু ওরফে শেখ রফিক শেখের। ওই ঘটনায় বজুর স্ত্রী মর্জিনা বিবি স্থানীয় তৃণমূল নেতা অহিদুল সাহাজি ও নোজ সাহাজি-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে এক সময় বসিরহাট থানার এক এসআই-কে ‘ক্লোজ’ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতির অভিযোগে কয়েক বছর জেলে থাকার পর সম্প্রতি বজু শেখ বাড়ি ফিরেছিল। কিন্তু গ্রামে ফেরার পরে সে ফের নানাজনকে ভয় দেখিয়ে তোলাবাজি শুরু করেছিল বলে অভিযোগ। ২৫ অগস্ট, শনিবার সে স্থানীয় অনন্তপুর স্টেশনের কাছে তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে কর্মীদের মারধর করে ও টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করে বসে অভিযোগ। ওই রাতেই সে অহিদুল সাহাজির বাড়িতে হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে হেলেও বজুকে খুঁজে পায়নি। এ দিকে তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিত সামাল দিতে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান বসিরহাট থানার এস আই নিত্যগোপাল রায়। পরে পুলিশ ফিরে গেলে সঙ্গী সালাউদ্দিন গাজির সঙ্গে মোটরসাইকেলে গ্রামে ফেরে বজু। ওই দিন বিকেলে বাড়ির কাছে কিছু লোক তাকে পিটিয়ে, কুপিয়ে খুন করে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামে পুলিশ থাকলে এমন ঘটনা আটকানো সম্ভব হত।
গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে জেলা পুলিশ। নিত্যগোপালবাবুকে কর্তব্যে গাফিলিতির অভিযোগে ‘ক্লোজ’ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার গোন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তদের একজন নোজ সাহাজি বাড়িতে ফিরেছে। কাছেই একটি স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নার তদারকি করছে। পুলিশ গ্রামে গেলে নোজ পালানোর চেষ্টা করে। পালানোর চেষ্টা করলে গুলি করা হবে বলে পুলিশ হুমকি দিলে ধরা দেয় নোজ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |