তাঁর হাত ধরেই বছর পাঁচেক আগে ধোনি বাহিনী জিতে নিয়েছিল প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আবার একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এসে গিয়েছে। তিনিও ফিরে এসেছেন জাতীয় দলে। তবে বিশ্বকাপে নামার আগে তিনি-- যুবরাজ সিংহ শনিবার জাতীয় দলের জার্সি আবার পরতে চলেছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। আর শুধু এই এক জনের জন্যই শনিবারের ম্যাচটা শুধু ক্রিকেটীয় গণ্ডিতে আটকে নেই। আসমুদ্রহিমাচল এখন দেখতে চায়, একটা মানুষ কী ভাবে ক্যানসারকে হারিয়ে উঠে নেমে পড়েন ব্যাট-বলের যুদ্ধে।
যুবরাজ নিজে কী বলছেন? এ দিন সন্ধ্যা নাগাদ ভাইজাগ বিমানবন্দরে নেমেই টুইট করেন তিনি: “এই মাত্র ভাইজাগে নামলাম। নামার সময় উপর থেকে দুর্দান্ত দেখায় শহরটাকে। আশা করব, কাল বা পরশু এখানে বৃষ্টি হবে না। কারণ, আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না।” বৃষ্টি নিয়ে যুবরাজের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ অবশ্য আছে। এ দিনও বৃষ্টির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারত-নিউজিল্যান্ডের প্র্যাক্টিস।
তবে শুধু যুবরাজ নন, অপেক্ষা করতে পারছে না ক্রিকেটপ্রেমী দর্শক বা টিম ইন্ডিয়ার সদস্যরাও। কলকাতায় বসে অলিম্পিকের ব্রোঞ্জজয়ী বক্সার মেরি কম বলেছেন, “যুবরাজের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল।” অনেক দিন বাদ থাকার পর আবার ভারতীয় দলে ফিরে এসেছেন হরভজন সিংহ। তাঁর সামনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে, বলছেন অফ স্পিনার নিজেই। বলেই কিন্তু আবার ডুবে যাচ্ছেন যুবরাজে। “আমরা সবাই যুবরাজকে নিয়ে গর্বিত। ও হল সত্যিকারের এক জন যোদ্ধা। অনেকের মনেই ওই মারণ রোগ নিয়ে আতঙ্ক ছিল। অনেকের মনেই সন্দেহ ছিল ছেলেটা আবার ফিরতে পারবে কি না। কিন্তু এক জনের মনে কোনও সন্দেহ ছিল না। সে হল স্বয়ং যুবরাজ,” বলছেন হরভজন।
শুধু এখানেই শেষ নয়, যুবরাজের যন্ত্রণাটা যেন ফুটে উঠছিল ভাজ্জির কথাতেও। “যে এর মধ্যে দিয়ে যায়, সেই বুঝতে পারে যন্ত্রণাটা কী রকমের। কেমোথেরাপি নেওয়ার সময় যুবরাজের দিনগুলো কী রকম কেটেছে, তা বুঝতে কষ্ট হয় না। ওর এই লড়াই বাকি ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের উদ্বুদ্ধ করবে।” একই কথা প্রায় শোনা যাচ্ছে সুরেশ রায়নার গলাতেও। বলছিলেন, “বেঙ্গালুরুর জাতীয় শিবিরে তো দেখলাম যুবি ভাই কী পরিশ্রমটাই না করল। সেই পরিশমের ফলটা আপনারা মাঠে দেখতে পাবেন।” |