নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
এক দিন পেরিয়ে গেলেও রিষড়ার সুভাষনগরের আবাসনে মহিলা খুনের ঘটনায় পুলিশ এখনও অন্ধকারেই। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতারও হয়নি। বুধবার দুপুরে রুক্মিণী সিংহ নামে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলাকে গলার নলি কাটা অবস্থায় ফ্ল্যাটে শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর পেটেও ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। নিহতের স্বামী সাহাগঞ্জের ডানলপ স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। হাসিখুশি ওই মহিলাকে এ ভাবে ফ্ল্যাটে ঢুকে দুষ্কৃতীরা খুন করায় প্রতিবেশীরা তাজ্জব। বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে রুক্মিণীদেবীর দেহের ময়না-তদন্ত করা হয়।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানান, তদন্তে খুব একটা সূত্র পাওয়া যায়নি। তবে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে তাঁদের অভিমত, খুনের ঘটনায় মহিলার পরিচিত কেউ অবশ্যই জড়িত। তদন্তকারী এক অফিসার জানান, ঘটনাস্থল থেকে মিষ্টির একটি খালি প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে। একটি বাটিতেও মিষ্টি লেগে ছিল। ফলে, ঘটনার আগে কেউ মিষ্টি খেয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। ওই অফিসার বলেন, “একটি আলমারিতে দু’একটি জিনিস ঘাঁটাঘাটি করা ছিল। আমাদের ধারণা, পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এটা করা হয়েছে। যাতে বিষয়টিকে ডাকাতির চেষ্টা বলে ভেবে নিই।” এ দিন কলকাতা থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞেরা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে, স্থানীয় দুষ্কৃতীদের গতিবিধির দিকেও পুলিশ নজর রাখছে। কয়েক দিন আগে রিষড়ায় প্রকাশ্য রাস্তায় দুষ্কৃতীরা লেবু নামে এক সমাজবিরোধীকে খুন করে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে লেবুর বাবাও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে রমেশ, নেপু বা চিকুয়ার মতো দাগি সমাজবিরোধীরা সংশোধনাগারে থাকা সত্ত্বেও নানাবিধ দুষ্কর্ম ফের মাথাচাড়া দেওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। জেলা পুলিশের কর্তারা অবশ্য আশ্বস্ত করছেন এই বলে যে, এলাকায় পুলিশের টহলদারি চলছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তা বাড়ানো হবে। |