নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
চতুর্থ শ্রেণির সাত ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে ধৃত ব্যান্ডেলের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ভাইস-প্রিন্সিপ্যাল সুবীর মণ্ডলকে ৭ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। তাঁর উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা।
বুধবার, শিক্ষক দিবসে শিক্ষক-বরণের জন্য তোড়জোড় করছিল ওই স্কুলের পড়ুয়ারা। বেলুন, রঙিন শিকলি দিয়ে ক্লাসঘর সাজাচ্ছিল চতুর্থ শ্রেণির কচিকাঁচারা। হচ্ছিল হইচই। সেই ‘অপরাধে’ সাতটি বাচ্চাকে ধাতব ‘ফোম-ক্যান’ দিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে সুবীরবাবুর বিরুদ্ধে। মাথা ফাটে চার জনের। গ্রেফতার করা হয় সুবীরবাবুকে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট প্রসেনজিৎ বসুর এজলাসে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। |
বৃহস্পতিবার স্কুলের সামনে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। ছবি: তাপস ঘোষ। |
এ দিন স্কুলে আসেনি বুধবারের ঘটনায় আহত ঈশান দাস, অরিত্র দাশগুপ্ত, কৌশিক হরিজন, আকাশ মোদক, সাগ্নি ঘোষ, সাগ্নিক রুদ্র এবং শুভদীপ পাল। স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। তাঁরা আদালতেও যান। ওই শিক্ষক স্কুলে যোগ দিলে ফের একই ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন অভিভাবকেরা। ঈশানের মা বর্ণালি দাস বলেন, “সুবীরবাবুর মারে আমার ছেলের মাথা ফেটেছে। চিকিৎসক ওর মাথার স্ক্যান করাতে বলেছেন। যে ভাবে মারা হয়েছে, তাতে আরও বড় অঘটন ঘটতে পারত। শিক্ষক হয়ে উনি যা করেছেন, তাতে ওঁর উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার।” একই বক্তব্য আরও অনেকের। স্কুলের ঘটনা নিয়ে এ দিনও কোনও কথা বলতে চাননি ‘ফাদার’ কে ভি ম্যাথিউ। সাংবাদিকেরা তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে লোক মারফত তিনি জানান, স্কুলের ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে তিনি কিছু বলবেন না। |