|
|
|
|
এসএফআই সম্মেলন |
টোটকা জঙ্গি আন্দোলনই, বর্তমানকে বার্তা প্রাক্তনদের |
সন্দীপন চক্রবর্তী • কলকাতা |
ধূসর বালিয়াড়ি থেকে তুষারাচ্ছাদিত পর্বতে ছড়িয়ে দিতে হবে আন্দোলনের ঢেউ। রাজস্থান আর হিমাচল প্রদেশের দৃষ্টান্ত টেনে পরামর্শ দিলেন সীতারাম ইয়েচুরি।
বাম মানেই শুধু পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ও ত্রিপুরা চেনা গণ্ডি ছেড়ে বেরোতে হবে ধারাবাহিক আন্দোলনের রাস্তা ধরেই, আহ্বান জানালেন প্রকাশ কারাট। তাঁদের রাজনীতিতে হাতেখড়ির দিনগুলো আন্দোলনের ধাক্কায় কেমন উত্তাল ছিল, স্মৃতিচারণ করলেন বিমান বসু।
মাদুরাইয়ে দলের ছাত্র সংগঠনের চলতি সর্বভারতীয় সম্মেলনে বৃহস্পতিবার অতীতের ছাত্র আন্দোলনের ‘তারকা’দের কাছ থেকে সহজ কথায় একটাই পরামর্শ পেলেন উঠতি কর্মীরা ‘জঙ্গি আন্দোলন’ ছাড়া সিপিএম তথা বামেদের ‘ঘুরে দাঁড়ানো’র আর বিশেষ কোনও পথ নেই। লাগাতার ‘জঙ্গি আন্দোলনে’র পথে বরাবরের মতো এগিয়ে যেতে হবে ছাত্র-যুবদেরই।
এসএফআইয়ের সম্মেলনে সিপিএমের পলিটব্যুরোর এক ঝাঁক শীর্ষ নেতা পরামর্শ দিতে হাজির হয়েছেন, এমন ঘটনা বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। ভিন্ন ভঙ্গিতে তাঁদের সকলের তরফে জঙ্গি আন্দোলনের উপদেশও একই রকম উল্লেখযোগ্য বলে সিপিএম সূত্রের ব্যাখ্যা। সংগঠনের চতুর্দশ সম্মেলনের খসড়া রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রতিবেদনেই অবশ্য এসএফআই বলেছে, ‘কেরল কমরেডদের লড়াকু ও জঙ্গি মনোভাব (মিলিট্যান্সি) সমগ্র সংগঠনের জন্যই প্রভূত অনুপ্রেরণার উৎস’।
কেরলে দল আপাতত ক্ষমতায় না-থাকলেও ছাত্র আন্দোলন যে ভাবে তীব্র আকার নিয়েছে, তার দৃষ্টান্তকেই সামনে রেখেছিল প্রতিবেদন। আর কারাট-ইয়েচুরিরা তার সঙ্গে রাজস্থান ও হিমাচল প্রদেশের ভোটে এসএফআইয়ের সাফল্যকে জুড়ে দিয়েছেন। বলেছেন, এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া চলবে না!
সমাজ পরিবর্তনের লড়াইয়ে ছাত্রদের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা তুলে বুধবারই উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন পলিটব্যুরোর কৃষক-নেতা কে বরদারাজন। ছিলেন এম এ বেবিও।
ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন সর্বভারতীয় নেতাদের নিয়ে মাদুরাইয়ের সম্মেলনে এ দিন বিশেষ অধিবেশনের ব্যবস্থা হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন অধুনা পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বা কেন্দ্রীয় নেতা নীলোৎপল বসু। তাঁরা যেমন একযোগে আন্দোলনের দাওয়াই দিয়েছেন, তেমনই ইয়েচুরি জেএনইউ-এর ‘বিদ্রোহী’দের পাশে-দাঁড়ানো বিদ্বজ্জনেদের নাম না-করে একহাত নিয়েছেন বলে সিপিএম সূত্রের খবর। পলিটব্যুরোর সদস্যদের উপস্থিতিতে দিল্লির সুনন্দ আনন্দের মতো বহু প্রতিনিধিও প্রশ্ন তুলেছেন, জেএনইউ বা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনের একাংশের ‘বিশৃঙ্খলা’ এত দিন বরদাস্ত করা হল কেন? কেন আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হল না? এসএফআইয়ের দিল্লি রাজ্য কমিটি ১৫ মাস বৈঠকই ডাকেনি!
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আজ, শুক্রবার শেষ হচ্ছে সম্মেলন। সংগঠন সূত্রের খবর, কেরলের পি কে বিজুর জায়গায় এসএফআইয়ের নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি হতে চলেছেন ওই রাজ্যেরই আর এক নেতা ভি শিবদাসন।
দ্বিতীয় বারের জন্য সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কথা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়েরই। কেন্দ্রীয় কমিটিতে দেখা যেতে পারে এ রাজ্যের একগুচ্ছ নতুন মুখ। |
|
|
|
|
|