ছাত্রদের উপস্থিতি বেশি দেখিয়ে মিড-ডে মিলের জন্য অতিরিক্ত চাল ও টাকা খরচের অভিযোগ উঠল ময়ূরেশ্বর থানার মল্লারপুর ধরণীদেবেন শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলের সামনে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান-বিক্ষোভ করার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের কাছে হিসাব বহির্ভূত খরচের জবাব চেয়ে স্মারকলিপি দেন মল্লারপুর ২ অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্ব এবং অভিভাবকদের একাংশ।
তাঁদের অভিযোগ, সম্প্রতি স্কুলে মিড-ডে মিলের কাগজপত্র পরীক্ষা করতে যান সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় পরিদর্শক। পরিদর্শক মিড-ডে মিলে গরমিল লক্ষ্য করেন বলে তাঁদের দাবি। তৃণমূল নেতা ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিজিৎ রায়দের দাবি, “প্রধান শিক্ষক প্রায় দিনই কাগজে কলমে ৯০-৯৪ কেজি চাল খরচ হচ্ছে বলে দেখাচ্ছেন। প্রকৃত অর্থে ২২-২৭ কেজি চাল খরচ হওয়ার কথা।” তাঁদের অভিযোগ, “দীর্ঘ চার বছর ধরে মিড-ডে মিলে চরম দুর্নীতি করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে খুব শীঘ্রই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকৃত হিসেব জানতে চাওয়া হয়েছে।”
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক চঞ্চল দাস সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বাসে করে বাড়ি ফিরছি পরে যোগাযোগ করুন।” ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের বিডিও বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, “ওই স্কুলে ব্লক থেকে মিড-ডে মিলের সুপারভাইজারকে পাঠানো হয়েছিল। কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। সুপারভাইজারকে বলেছি যথার্থ তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে। রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এর পরেও যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
অন্য দিকে, নলহাটি থানার নগড়া গ্রামে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে মিড-ডে মিলের রান্না করা খাবার চুরির অভিযোগে রাঁধুনিদের দীর্ঘক্ষণ আটক করে রাখেন গ্রামবাসীদের একাংশ। পরে তাঁদের ছেড়ে দিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। |