বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা কাজে যোগ না দেওয়ায় দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড (ডিপিএল) অনেকখানি অরক্ষিত থেকে গেল বৃহস্পতিবারও। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা কারখানা থেকে লোহার যন্ত্রাংশ লুঠ করছে বলেও অভিযোগ উঠছে। খবর পেয়ে এ দিন দুপুরে পুলিশ যায়। যদিও কাউকে ধরতে পারেনি।
দীর্ঘদিন শূন্যপদে নিয়োগ না হওয়ায় ১০৪ জন সরকারি নিরাপত্তারক্ষীই এখন ডিপিএলের ভরসা। সেখানে কারখানা ও টাউনশিপ মিলিয়ে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা প্রায় ৪২৫। দু’টি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে ডিপিএলের চুক্তি মোতাবেক এই নিরাপত্তারক্ষীরা কাজ করেন। গত ৩১ অগস্ট দু’টি সংস্থারই চুক্তির সময়সীমা শেষ হয়েছে। কিন্তু পুরনো রক্ষীরা কাজ ছেড়ে যেতে রাজি হননি। নতুন সংস্থাও কাজে যোগ দিতে আগ্রহ দেখায়নি। এই ডামাডোলে বেসরকারি রক্ষীরা কাজ থেকে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন। |
ডিপিএলের মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক সন্ধ্যাবরণ মুখোপাধ্যায়ের দাবি করেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে সংস্থার নিজস্ব সরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা উদ্যোগী হয়ে কাজ করছেন। আলোচনার মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থা দু’টির সঙ্গে সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এ দিনও পরিস্থিতি বিশেষ বদলায়নি। উল্টে কারখানার পিয়ালা শ্মশান সংলগ্ন এলাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা চলছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, মূলত লোহার যন্ত্রাংশ সরানোর কাজ করছিল দুষ্কৃতীরা। তাঁরা কোকওভেন থানায় খবর দিলে পুলিশ আসে। তবে তার আগেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা এমএএমসি থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ সরে যাওয়ার পরেই দেদার চুরি শুরু করেছিল দুষ্কৃতীরা। রাজ্য সরকারি সংস্থা ডিপিএলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অচলাবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে সেখানকার পরিস্থিতিও সেই দিকে মোড় নিতে পারে বলে এলাকার বাসিন্দা থেকে কর্মীদের একটা বড় অংশই মনে করছেন। |