টুকরো খবর
অসুস্থকে প্রত্যাখ্যান, অভিযুক্ত নার্সিংহোম
গুরুতর অসুস্থ এক তরুণীকে চিকিৎসা না করিয়েই নার্সিংহোম থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার শিলিগুড়ির প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনায় রোগীর পরিবারের তরফে প্রধাননগর থানায় অভিযোগও জানানো হয়। ঘটনাটি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি ঘটনার তদন্ত করে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। একই সঙ্গে উদ্বেগের। পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। নার্সিংহোমের চিকিৎসক কোনও চিকিৎসা না করায় রোগীকে পরে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হয়েছে। এ রকম হবে কেন? মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” নার্সিংহোমের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগিণীর নাম স্নেহা অগ্রবাল। হিলকার্ট রোডের বাসিন্দা স্নেহা একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়রিং এবং ম্যানেজমেন্ট কলেজের ছাত্রী। পরিবারের অভিযোগ, এ দিন শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানের সময় স্নেহা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রধাননগরের মেঘনাদ সাহা সরণির ওই নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অথচ শয্যায় জায়গা নেই জানিয়ে রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা পর্যন্ত তারা করেননি। বারবার অনুরোধ করেও ফল হয়নি। দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকও কোনও অনুরোধ শুনছেন না দেখে রোগীকে অন্য নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরেই পরিবারের তরফে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান পরিবারের লোকেরা। দার্জিলিং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক জানান, প্রধাননগরের ওই নার্সিংহোমে রোগীকে কেন ভর্তি নেওয়া হয়নি বা চিকিৎসা করা হয়নি তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডেঙ্গিতে আক্রান্ত আরও ৩
শিলিগুড়ি শহরের বাসিন্দা ৩ জন রোগীর দেহে ডেঙ্গির জীবাণু মিলল। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত রোগীদের নাম শ্যামসুন্দর শর্মা, অঞ্জু মিশ্র এবং মনোজ গুপ্ত। শ্যামসুন্দর শর্মা এবং অঞ্জু মিশ্র শিলিগুড়ি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁদের বাড়ি সন্তোষীনগর এলাকায়। অঞ্জু দেবী জ্বর নিয়ে দু’ দিন আগেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। শ্যামসুন্দর এবং মনোজবাবুকে এ দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার মধ্যে শ্যামসুন্দরবাবু মঙ্গলবার কলকাতা থেকে ফিরেছেন। মনোজবাবু পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগরপল্লির বাসিন্দা। এ দিন শিলিগুড়ি পুর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ডেঙ্গি সচেতনতায় প্রচার অভিযান শুরু করে স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ মৈত্রেয়ী চক্রবর্তীরা। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দাস বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৩ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। তার মধ্যে এ দিন দু’ জন ভর্তি হয়েছেন।” পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমরনাথ সিংহ জানান, ওয়ার্ডের ২ জন রোগীর ডেঙ্গি হয়েছে। এলাকায় মশা মারতে পুরসভার তরফে অভিযান চালাতে বলেছেন। ওয়ার্ড কমিটির তরফে সচেতনতা প্রচারও চালানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ডেঙ্গি পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই হাসপাতালে
জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। কিন্তু কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই। ভরসা বেসরকারি প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবোরেটরিগুলোই। সেখানে র্যাপিড কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার শাশ্বত মণ্ডল বলেন, “কিট পরীক্ষায় জেঙ্গির জীবাণু রয়েছে কি না, তা ঠিক ভাবে ধরা যায় না।” কিন্তু যে সব রোগীর ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট সেই পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, তাঁদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। শাশ্বতবাবু বলেন, “সেই সতর্কতার কারণেই সেই রোগীদের কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।” এখনও পর্যন্ত তিন জন রোগীকে কলকাতায় ‘রেফার’ করা হয়েছে। হাসপাতালের আউটডোরে জ্বরের রোগীর প্রচণ্ড ভিড় বাড়ছে। শাশ্বতবাবু বলেন, “বুধবার জামুয়ার পঞ্চায়েতের বিরথুম্বা থেকে আরও এক জন ভর্তি হয়েছেন। তাঁকেও বেসরকারি ল্যাবোরেটরির পরীক্ষায় ডেঙ্গির পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।” জঙ্গিপুরের সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিষ্ণুপদ বাগ বলেন, “ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে ডেঙ্গির ‘পজিটিভ’ কোনও রোগীর সন্ধান এখনও মেলেনি। বেসরকারি ল্যাবোরেটরিগুলি থেকে কিট পরীক্ষায় ঠিক ভাবে ডেঙ্গির জীবাণু মেলে না। বরং তাতে বিভ্রান্তি ছড়ায়। তাই চিকিৎসকদের বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট উপসর্গ দেখলে তবেই তাদের যেন চিহ্নিত করা হয়।” এই ব্যাপারে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রোগীর অসুখের ইতিহাসের উপরে। কলকাতা গিয়েছিল এমন কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে তাঁর রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

ডেঙ্গি ঠেকাতে বিশেষ বৈঠক
পুর এলাকায় ডেঙ্গি-সহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগের প্রকোপ থেকে নাগরিকদের বাঁচাতে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে কুলটি পুরসভায় একটি বিশেষ বৈঠকে বসলেন কাউন্সিলররা। বুধবার ওই বৈঠকের পৌরহিত্য করেন উপপ্রধান বাচ্চু রায়। বৈঠকের শেষে তিনি জানান, এলাকাকে সাফসুতরো রাখা ও এলাকায় কীটনাশক ছড়ানোর জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মহকুমা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে পুরসভার কর্মীদের নিয়ে যৌথ দল গঠন করে এলাকা ঘুরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিহ্নিতকরণ ও তাঁদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই জোরকদমে এই দুটি কর্মসিূচ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

কালনায় আন্ত্রিক
আন্ত্রিকের প্রকোপ দেখা দিল কালনা ১ ব্লকের সুলতানপুর পঞ্চায়েতের ন’পাড়া গ্রামে। মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭জন ভর্তি রয়েছেন। কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দু’জন। এ ছাড়া বেশ কয়েক জনের চিকিৎসা চলছে গ্রামেই। বাসিন্দাদের দাবি, গত তিন দিন ধরে বেড়ে চলেছে এই রোগের প্রকোপ। মঙ্গলবার দুপুরে কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তি চাল-সহ স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল ওই গ্রামে পৌঁছয়। শান্তি চাল বলেন, “সম্ভবত একটি অস্বাস্থ্যকর নালা ও কাছাকাছি একটি টিউবওয়েল থেকে এ ভাবে আন্ত্রিক ছড়িয়ে পড়েছে।”

স্বাস্থ্যশিবির
বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির আয়োজিত হল মঙ্গলবার। বারাবনির কাপিষ্টা গ্রামের বিবেকানন্দ ক্লাবের উদ্যোগে শিবিরের উদ্বোধন করেন বারাবনির বিএমওএইচ আসিফ সিরাজ। ক্লাবের সম্পাদক মথুরামোহন কর্মকার জানান, প্রায় ১৫০ জন রোগীর চক্ষুপরীক্ষা ও আরও প্রায় ১৫০ জনের সাধারণ স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়।

ডাক্তার ধর্মঘট
এক রোগীর মৃত্যু ঘিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে ডাক্তারদের। কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বিআরডি হাসপাতলের ডাক্তাররা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.