‘অ’ মুছে মানবিক, কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর |
কোনও কোনও ‘অমানবিক’ সংগঠন তাদের নামের সঙ্গে ‘মানবিক’ শব্দটি যুক্ত করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকে আমাকে মানবিকতা শেখাতে আসেন। এ দিকে নিজেরা খুন করে বেড়ান। আমি গোটা জীবন মানবিকতার জন্য কাজ করে এসেছি। তার জন্য আমাকে বিদেশ বা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছ থেকে টাকা নিতে হয় না।” এর পরেই মমতা বলেন, “কোনও কোনও সংগঠন আসলে অমানবিক। কিন্তু ‘অ’-টা মুছে মানবিক সংগঠন নাম রেখেছে। মানবিক সে-ই হয়, যে মুখে বলে না, কাজে করে দেখায়।”
|
রাজ্যের টাকা মেটানো নিয়ে চিন্তায় রেল মন্ত্রক |
প্রায় দশ বছর ভাড়া না বাড়ায় আয় সে ভাবে বাড়েনি। তারই মধ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর মালিকানা হাতে আসায় শুধু প্রকল্প রূপায়ণ করার দায়িত্বই নয়, ওই করিডর নির্মাণে এ যাবৎ রাজ্য সরকার যে টাকা খরচ করেছে, তা-ও এখন কড়ায় গণ্ডায় মেটাতে হবে রেলকে। দীর্ঘ টালবাহানার পরে গত ২৩ অগস্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ছাড়পত্র দেওয়ায় ভারতীয় রেলের হাতে আসে কলকাতার পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো প্রকল্পটি। ৪৮৭৪ কোটি টাকার ওই প্রকল্পে ২২৫৩ কোটি টাকা ঋণ দেবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বাকি টাকা যৌথ ভাবে দেওয়ার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের। কিন্তু মালিকানা হস্তান্তর হওয়ায় গত কাল ক্যাবিনেট সচিবালয় থেকে রেল মন্ত্রকে জানানো হয়েছে, ওই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১৪৬.৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। ওই অর্থ তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। রেল কী ভাবে ওই বাজেট-বর্হিভূত অর্থ মেটাবে, তা নিয়ে এখন চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন মন্ত্রক কর্তারা। রেলের এক শীর্ষ কর্তার কথায়,“কোথা থেকে ওই বাড়তি টাকা আসবে জানা নেই। একটাই আশার বিষয়, টাকা ফেরৎ দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়নি কেন্দ্র।”
|
খুন ও ধর্ষণে ক্ষতিপূরণ প্রকল্প রাজ্যে |
অপরাধমূলক ঘটনার জেরে কারও জীবনহানি বা অঙ্গহানি হলে তাঁর পরিবার অথবা তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। আজ, বৃহস্পতিবার মহাকরণে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রকল্প পেশ করা হবে। সম্প্রতি ফৌজদারি আইন সংশোধন করে এই ধরনের ক্ষতিপূরণ প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। তারা সব রাজ্যকে এই প্রকল্প চালুর পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্রের আদলেই ক্ষতিপূরণ প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। অপরাধমূলক ঘটনায় কারও মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের নয়া প্রকল্পে। আক্রান্ত ব্যক্তির অঙ্গহানি বা শরীরের ৮০% অকেজো হয়ে গেলে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। কারও শরীরের ৪০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে টাকার পরিমাণ হতে পারে ২০ হাজার। ধর্ষণের ক্ষেত্রেও ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে ওই প্রকল্পে। নাবালিকা ধর্ষিতার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ৩০ হাজার টাকা। প্রাপ্তবয়স্কার ক্ষেত্রে দেওয়া হবে ২০ হাজার টাকা। |