|
|
|
|
এ মাসেই ফের সাধারণ সভার প্রস্তাব |
পেট্রোকেমের শেয়ার বিক্রির পথে বাধা কাটাতে উদ্যোগী রাজ্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস (এইচপিএল)-এর শেয়ার বিক্রির ব্যাপারে আরও এক পা এগোতে চলেছে রাজ্য সরকার। এ মাসের শেষেই সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভার প্রস্তাব রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, শেয়ার বিক্রির আগে সংস্থার হিসেবপত্র ঠিক করার পথে এটি আর একটি পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, গত জুনেই সংস্থার পরিচালন পর্ষদে রাজ্য সরকার মনোনীত ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে প্রাক্তন আমলা সুমন্ত্র চৌধুরী এইচ পি এল-এ যোগ দেন। চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পার্থ ভট্টাচার্য নাটকীয় ভাবে পদত্যাগ করেন সংস্থার এমডি-র পদ থেকে।
এই ভাবে সরকার মনোনীত প্রার্থীকে এমডি হিসেবে নিয়োগ করায় চ্যাটার্জি গোষ্ঠী ক্ষুব্ধ হলেও তা মেনে নিতে বাধ্য হন। কারণ পরিচালন পর্ষদে নিজেদের পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন ছিল না তাঁদের।
বুধবার রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর প্রধান পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। বৈঠক সেরে বেরনোর মুখে পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, “আমরা চাই সংস্থার ভাল হোক। সংস্থাটি সুস্থ ভাবে চলার জন্য যা সহযোগিতার দরকার তা আমরা করব।” এর পরে শিল্পমন্ত্রী জানান, এ মাসের শেষে সংস্থার বার্ষিক সভার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। |
|
গত জুলাইয়ে সংস্থার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। তারপরেই আবার সেপ্টেম্বরে সাধারণ সভার প্রস্তাব কেন? সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বিবাদ-বিতর্কের মধ্যে সংস্থার নিরীক্ষিত হিসেব নিয়মিত সাধারণ সভায় অনুমোদন করানো হয়নি। গত সাধারণ সভায় ২০১০-’১১ পর্যন্ত নিরীক্ষিত হিসেব অনুমোদন করানো হয়। এ মাসে প্রস্তাবিত সাধারণ সভায় ২০১১-’১২-এর নিরীক্ষিত হিসেবকে পাশ করিয়ে নিলে পরবর্তী পর্যায়ে শেয়ার বিক্রির পথে হাঁটা সংস্থার পক্ষে সহজতর হবে। সংস্থা সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ২৬ সেপ্টেম্বর ওই সভার প্রস্তাব রেখেছে রাজ্য।
এ মাসের শেষেই অবশ্য মন্ত্রীদের নিয়েঅমিত মিত্রের নেতৃত্বাধীন কমিটি পেট্রোকেমিক্যালসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভবিষ্যতের দায় নিয়ে তাদের রিপোর্ট দাখিল করবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, রাজ্য সরকার ধাপে ধাপে শেয়ার বিক্রির পথ মসৃণ করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে। উল্লেখ্য, আর্থিক সংস্থাগুলিও নতুন ঋণ দেওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে হলদিয়া পেট্রোকেমের আরও শেয়ার দাবি করেছে।
সংস্থার আর্থিক অবস্থা এবং অর্থের প্রয়োজনীয়তার কথা এ দিন পূর্ণেন্দুবাবুর সঙ্গে বৈঠকে ফের উল্লেখ করেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিল্পমন্ত্রীর দাবি, অর্থের সংস্থান হলে এবং ন্যাপথা কিনতে পারলে যে সংস্থা ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই মিলেছে।
গত জুলাই ও অগস্টে পরপর দু’মাসে নগদ মুনাফা করেছে সংস্থাটি। |
|
|
|
|
|