অস্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ব্যবস্থা করে জঞ্জাল সাফাই অভিযানে নামল আলিপুরদুয়ার পুরসভা। বুধবার সকালে পুর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিজস্ব জমিতে ময়লা ফেলার কাজ শুরু করে পুরসভা। এ দিনও স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করলে প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক অমলকান্তি রায় বলেন, “অস্থায়ী ভাবে জঞ্জাল ফেলার জায়গার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পুরসভার নিজস্ব ৬ একর জমিতে আপাতত জঞ্জাল ফেলা হচ্ছে। এ দিন কিছু স্থানীয় বাসিন্দা আপত্তি জানালেও বুঝিয়ে বলার পরে তাঁরা মেনে নিয়েছেন।” ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় শহরের জঞ্জাল ফেলা নিয়ে পুরসভার সাফাই কর্মীরা এর আগে দফায় দফায় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। অবশেষে নদী সংলগ্ন এলাকায় জঞ্জাল ফেলা শুরু হয়। বিভিন্ন পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের তরফে দূষণের অভিযোগ উঠলে সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। দু’মাস আগে পোরোরপার এলাকায় জঞ্জাল ফেলতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এর পরে পুরসভার কর্তারা শহরে সাফাই অভিযান বন্ধ রেখে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের খোঁজ শুরু করেন। ইতিমধ্যে শহর আবর্জনায় ভরে যায়। পুঁতিগন্ধময় পরিবেশ তৈরি হয় বিভিন্ন ওয়ার্ডে। সমস্যা সমাধানে গত ৩০ অগস্ট মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে বুধবার প্রশাসন ও পুলিশ কর্তাদের উপস্থিতিতে জঞ্জাল ফেলার কাজ শুরু হয়। আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দীর্ঘদিন সাফাই অভিযান বন্ধ থাকায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। অবশেষে সাফাই অভিযান শুরু করা সম্ভব হয়েছে। শহরকে দূষণ মুক্ত করতে কিছুদিন সময় লাগবে।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর আগে শহরে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ, কাপ, গ্লাস ও থার্মোকলের সামগ্রী ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। চেয়ারম্যান বলেন, “এলাকার বেশিরভাগ নিকাশি নালা প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের জন্য বন্ধ হয়ে আছে। এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই ঠিক হয়েছে পুজোর আগেই বিশেষ অভিযান করা হবে।” তবে নিজের জমি হলেও পুরসভা মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কতদিন জঞ্জাল ফেলতে পারবে তা নিয়ে শুরুতে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ দিন ওই এলাকার বাসিন্দা মাধব সরকার ,লক্ষ্মণ পালের মতো অনেকে প্রশাসনের কর্তাদের জানান, এর আগে কিছুদিন সেখানে ময়লা ফেলা হয়। ওই সময় দুর্গন্ধ জেরবার দশা হয়েছে। মাছির উপদ্রব বেড়েছে। এ বারও বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা না করে পুরসভা ময়লা ফেলা শুরু করেছে। এটা কেউ মেনে নিতে পারছেন না। মাধববাবু বলেন, “এখানে স্থায়ীভাবে ময়লা ফেলতে দেওয়া হবে না”। |