উদ্যোগী রাজ্য
দৃশ্য-দূষণ ঘুচিয়ে নবরূপে হাওড়া
বার ‘হাওড়ার মুখ’ বদলাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার।
শহরে প্রবেশপথে মাছের আড়তের দুর্গন্ধ, সব্জিবাজার ও পানবাজারের চারপাশের আবর্জনার জন্য পরিবেশ দূষণের অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক দশকের। তারই প্রতিকারে মাঠে নামল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এলাকার উন্নয়নই নয়, সরকার চাইছে ওই এলাকার সামগ্রিক পরিবেশ দূষণ রোধ করতে।
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ওই বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন। গত কয়েক মাসে পরিদর্শনে আসেন পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার, পূর্তমন্ত্রী সুব্রত সাহা ও মৎসমন্ত্রী আবু হেনা। সকলেই পরিবেশের উন্নতির পক্ষে মত দেন। রাজ্য পরিবেশ দফতরের পক্ষ থেকেও একই অভিমত দেন দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার। পরিবেশ দফতরের অভিযোগ, আড়তে মাছের জন্য ব্যবহৃত বরফ মূলত তৈরি হয় পচা জল থেকে। ওই জল ভূস্তরের সঙ্গে মিশে ব্যাপক ভূমি-দূষণ ঘটাচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে এলাকাবাসীদের স্বাস্থ্যের। অবিলম্বে এই দূষণ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন সব্জিবাজারের পাশে পড়ে থাকা আবর্জনার দুর্গন্ধ রোধ করাও। কারণ, হাওড়া স্টেশনে আসা ভিন্ রাজ্যের লোকজন বা বিদেশিদেরও ওই দুর্গন্ধ সহ্য করে শহরে প্রবেশ করতে হয়, যা রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাজনক।
চলছে আবর্জনা সাফাই। হাওড়া মাছবাজারে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
এলাকার উন্নয়নে গত সপ্তাহের শেষ থেকে শুরু হয়েছে মাছবাজারের পাশ থেকে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ অভিযান। চলছে মাছবাজার ও পানবাজারে পাশে পড়ে থাকা প্যাকিং বাক্স ও আর্বজনা সরানোর কাজও। টিন দিয়ে ঘেরা হচ্ছে কেএমডিএ-র বেখল হয়ে যাওয়া জমি। যদিও প্রাথমিক ভাবে শুরু হওয়া এই কাজ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন তৃণমূল প্রভাবিত হাওড়া সব্জিবাজার খুচরো ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যেরা। তাঁদের অভিযোগ, কাউকে কিছু না জানিয়ে কয়েক ঘণ্টার নোটিসে সব ভাঙচুরের কাজ শুরু হয়েছে। টিন দিয়ে এলাকা ঘেরা হচ্ছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সোনকার বলেন, “কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ এ সব ভাঙচুর, দখল নেওয়া শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। এই বাজারের সঙ্গে প্রায় তিন হাজার চাষি ও দেড় হাজার ব্যবসায়ীর রুজি-রুটি জড়িত। উন্নতি করতে গিয়ে যাতে এত লোকের ক্ষতি না হয়, তা আগে দেখা দরকার।”
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “হাওড়ার মাছবাজার ও সব্জিবাজারের উন্নয়নে কেএমডিএ প্রকল্প তৈরি করেছে। বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ করে এলাকার আবর্জনা সাফাই চলছে। ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”
এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অশোক ঘোষ বলেন, “হাওড়ায় প্রবেশের মুখে ওই এলাকার উন্নতি করব বলে নির্বাচনের আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তবে সবই হবে ব্যবসায়ীদের জন্য বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করে। কারও রুজি-রুটির ক্ষতি করে উন্নতি করা আমাদের সরকারের নীতিবিরুদ্ধ।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.