কলেজে প্রবেশ বিষয়ে প্রকাশিত অসীম চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘ভাল’ কলেজে কারা সুযোগ পায়, কারা পায় না (১০-৭) শীর্ষক আলোচনা সম্পর্কে আমার কিছু বক্তব্য আছে। কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট-এর অভিযোগ এড়াতে আগেই বলে রাখি যে, আমি একদা সি বি এস ই-র ছাত্র ছিলাম।
অসীমবাবু ‘অন্যান্য’ বোর্ডের শিক্ষা পদ্ধতিকে তথ্যনির্ভর বলেছেন। তা কি সম্পূর্ণ সত্য? (‘জোর দেওয়া হয় তথ্য জানার উপর, বিশ্লেষণের উপরে নয়’)। সি বি এস ই-তে শুধু মাত্র তথ্য নয়, বরঞ্চ কম শব্দে সঠিক ভাবে ক্রিটিকাল বিশ্লেষণে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। এদের প্রশ্নপত্রে অবজেক্টিভ প্রশ্ন থাকলেও কদাপি তা ‘বহুল’ নয়। দেশের নামী ও প্রিমিয়ার প্রতিষ্ঠানে পড়ে বা গবেষণা করে বলছি, সংক্ষেপে ক্রিটিকাল বিশ্লেষণেরই আজ সর্বত্র জয়জয়কার। |
অন্য বোর্ডের ছাত্রদের অবমাননা করতে চাই না। শুধু ‘আমগাছে আম ফলে, নিমগাছে নিম’ বলাটায় আমি অপমানিত বোধ করছি। এই রূপেই, বিদেশে পরস্পর পিঠ চুলকানির সংস্কৃতি আছে এবং বিদেশি ডিগ্রিধারীদের এটায় দক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, এ কথা তাঁদের যোগ্যতার অপমান। এই অপসংস্কৃতি বিদেশের চেয়ে ভারতেই বেশি কি না, প্রশ্ন জাগে!
মেধবীরা সব বোর্ডেই মেধাবী। তবে বিশেষ করে সি বি এস ই সিলেবাস অনেক আধুনিক। বটানিতে যে বিষয়ে কলেজে আমাদের তৃতীয় বর্ষে পড়ানো হয়, তা আমরা সি বি এস ই-র দ্বাদশ শ্রেণিতেই পড়ে এসেছি। এটি পঃ বঃ বোর্ডের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ নয়তো?
অনিকেত সেনগুপ্ত। টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ, ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস
|
“‘বিবেক’ বলতে কী বুঝব, সেই প্রশ্ন অতি জটিল” শীর্ষক রণজিৎ দাশের চিঠিটি (২৮-৮) বিবেকসন্ধানী। কিন্তু ‘কলোনীয়’ পথেরই অভিযাত্রী। ‘বিবেক’ শব্দটির অর্থ খুঁজতে গিয়ে তিনি বিদেশি দার্শনিকদের চিন্তার সীমায় আবদ্ধ থেকেছেন। বাংলা অভিধান খুঁজলেও ভারতীয় চিন্তায় আশ্রয় নেওয়ার প্রশ্ন ওঠেনি। যেখানে বিবেক অর্থ ‘সদসৎবিচার’, এক মহান (কলোনীয় মনের পক্ষে পরিত্যাজ্য?) ভারতীয় চিন্তানায়কের নাম তাই বিবেকানন্দ। অন্য এক মহান আচার্যের গ্রন্থ ‘বিবেকচূড়ামণি’।
জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা-১১২
|
হাওড়া-ব্যান্ডেল মেন লাইনের বেশ কিছু রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মাথার আচ্ছাদন প্রসারণের জন্য বহু পুরনো গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। বেশির ভাগই বট, অশ্বত্থ জাতীয়, যারা মানুষের প্রাণবায়ু অক্সিজেনের জোগান দেয় ও কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস শোষণ করে পরিবেশকে নির্মল রাখে। মৃত বৃক্ষের কাণ্ডগুলি স্টেশন প্ল্যাটফর্মের উপরেই পড়ে আছে, যা বেদনাদায়ক।
তাপস মুখোপাধ্যায়। শ্রীরামপুর, হুগলি |