শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রদের নাচানাচির সময়ে সিলিংয়ের চাঙড় খসে জখম হলেন এক শিক্ষাকর্মী। বুধবার দুপুরে বর্ধমান রাজ কলেজে ওই ঘটনার পরেই প্রাতঃবিভাগের ছাত্রেরা অনুষ্ঠান বন্ধ করে চলে যান।
কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্র নন্দী বলেন, “পুরনো বাড়িতে এক সঙ্গে অনেকে মিলে লাফালাফির জেরে চাঙড় খসেছে। বড় বিপদ হতে পারত। আগামী বার থেকে যাতে কলেজের ভিতরে এ সব না হয়, সে দিকে আমরা নজর রাখব।” |
কলেজ সূত্রের খবর, এ দিন অধ্যক্ষের দফতরের উপরে দোতলায় প্রাতঃবিভাগের অনুষ্ঠান চলছিল। শিক্ষকর্মীদের অভিযোগ, সাউন্ডট্র্যাক বাজিয়ে কয়েক ঘন্টা ধরে নাচানাচি চলে। তারই জেরেই পুরনো বাড়ির ছাদ থেকে চাঙড় খসে পড়ে নীচে শিক্ষাকর্মীদের কাজের জায়গায়। কৃষ্ণকান্ত রায় নামে এক শিক্ষাকর্মীর হাতে আঘাত লাগে।
কৃষ্ণকান্তবাবুর অভিযোগ, “সকাল থেকেই নাচগান চলছিল। অন্যেরা টিফিন করতে গিয়েছিলেন। আমি একা বসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ বড় একটা চাঙড় খসে টেবিলে পড়ে। একটু এ দিক-ও দিক হলেই মারা পড়তাম!”
প্রাতঃবিভাগের ওই ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা টিঙ্কু ক্ষেত্রপালের দাবি, “এই ধরনের অনুষ্ঠান করায় অন্যায় কিছু নেই। সব জায়গাতেই হয়। চাঙড় না খসলে কেউ তো কিছু বলত না!” আর এক নেতা সায়ন সেনের প্রশ্ন, “অন্য বিভাগেও এই ধরনের অনুষ্ঠান হয়েছে। কোথাও তো কিছু হয়নি! তা হলে শুধু প্রাতঃবিভাগকেই দায়ী করা হচ্ছে কেন?” টিএমসিপি-রই মহম্মদ আজহারউদ্দিন ও শেখ মাখনের বক্তব্য, “প্রতি বছরই অনুষ্ঠান হয়। নাচগানও হয়। এ বার হঠাৎ চাঙড় খসে পড়বে, কে জানত? পুরনো ভবনের অবস্থা যে বিপজ্জনক, তা তো কলেজ কর্তৃপক্ষ জানাতে পারতেন!” |