নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খরিফ মরসুমের ধান সংগ্রহ শুরু হবে ১ অক্টোবর। কিন্তু কোথায় কোথায় ধান কেনার শিবির করা যাবে, খাদ্য দফতরের কাছে এখনও তা পরিষ্কার নয়। কোন কোন এলাকায় শিবির করা সম্ভব, তা জানতে চেয়ে শাসক ও বিরোধী সব পক্ষের বিধায়কদের চিঠি দিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু মাত্র ৫৫ জন জবাব দিয়েছেন। আর কোনও বিধায়কের কাছ থেকেই সাড়া পাননি মন্ত্রী।
মঙ্গলবার খাদ্য ভবনে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। শিবিরের সম্ভাব্য জায়গার হদিস-সহ চিঠির জবাব না-দেওয়ায় বিশেষত বিরোধী দলের বিধায়কদেরই বেশি দায়ী করেছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, “বিরোধী দলের বিধায়কেরা তো অকারণে বিধানসভায় চিৎকার করেন। কিন্তু কাজের সময় তাঁদের সক্রিয় হতে দেখা যায় না। আসলে ওঁদের অনেকে নিজেদের এলাকাটাই চেনেন না।”
কিন্তু খাদ্যমন্ত্রীর নিজের দল তৃণমূলের বিধায়কেরাও তাঁর চিঠির উত্তর দেননি কেন?
খাদ্যমন্ত্রীর জবাব, “যে-ক’জন ইতিমধ্যে ধান সংগ্রহ শিবিরের জায়গার হদিস দিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলেরই বিধায়ক।”
খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা জানান, ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে চাল পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। তাই সামনের বছরে ধানের চাহিদা আরও বাড়বে। তার উপরে সময়মতো ধান সংগ্রহের কাজ শুরু করতে না-পারলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি পেতেও সমস্যা হতে পারে। তাই ধান সংগ্রহ শিবিরের উপরে জোর দিচ্ছে সরকার।
নতুন চালকল চালু করার ব্যাপারে এ দিনই রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর এবং অত্যাবশ্যক পণ্য নিগমের সঙ্গে মহাকরণে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী, তিনি জানান, রাজ্যে কমবেশি এক হাজার নতুন চালকল চালু করা হবে। তাতে সাহায্য নেওয়া হবে উদ্যোগপতিদের। এই বিষয়ে আলাদা রূপরেখা তৈরির পরিকল্পনা আছে। উদ্যোগপতিরা সরকারের পাশে দাঁড়ালে তাঁরাও যাতে সুযোগ-সুবিধা পান, সেটা অবশ্যই দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন খাদ্যমন্ত্রী। এখন রাজ্যে যে-সব চালকল রয়েছে, সেগুলির অধিকাংশই বহু পুরনো। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় ১৫৪টি চালকল নানান কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে চলছে এক হাজার চালকল।
সরকারের হিসেব, এ বছর প্রায় ১৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান হবে রাজ্যে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, খরিফ মরসুম শুরু হওয়ার আগে, ১০ সেপ্টেম্বর থেকে চার দিন বিভিন্ন ব্লকে সচেতনতা শিবির করা হবে। ১৩ তারিখে কলকাতার মহাজাতি সদনে চালকলের মালিকদের নিয়েও একটি বিশেষ সভার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। |