আনন্দমঠ হোমে সংস্কারের কাজ কেমন হচ্ছে, তা সরেজমিন দেখতে ফের সেখানে গেলেন পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) হৃষিকেশ মুদি। গত ২৪ জুন এই হোমে কিছু আবাসিক মেয়ের ‘বিদ্রোহের’ পরে সমাজকল্যাণ দফতর হোম ঠিকঠাক ভাবে চলছে কি না, তা দেখতে জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটি গড়ে।
প্রশাসন যে সমস্ত পদক্ষেপ করেছিল, তার কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা দেখতে গত শনিবার জেলাশাসকের নেতৃত্বে ওই কমিটি হোম পরিদর্শন করে। দু’দিনের ব্যবধানে মঙ্গলবার ফের সেই কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক হোম পরিদর্শনে যাওয়ায় নানা মহলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিক স্বপন মুখোপাধ্যায়। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “হোম নিয়ে তখন আবাসিকদের একাংশের নানা অভিযোগ ছিল। সমাজকল্যাণ দফতর হোম সংস্কারের জন্য ১ কোটি ২০ লক্ষ ৭১৩ টাকা বরাদ্দ করেছে। কিছুদিন আগে হোম সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু, সেই কাজ নিয়ে জেলাশাসক খুশি ছিলেন না। কমিটিও কাজের মান ও অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল না। কোথায় সমস্যা হচ্ছে, তা দেখতে হোমে গিয়েছিলাম।”
এ দিন হোমে গিয়ে কাজ দেখে তিনিও খুশি হতে পারেননি। যে কারণে তিনি সংস্কার কাজের দায়িত্বে থাকা পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন। হৃষিকেশবাবু বলেন, “এ বার থেকে প্রতিদিন কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কাজের আগে যেখানে কাজ হচ্ছে, সেই জায়গার ছবি তুলে রাখতে বলা হয়েছে। কাজের সময় ও কাজের পরেও ছবি তুলে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরীক্ষা করা হবে।” পূর্ত দফতরের (নির্মাণ) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার লক্ষ্মীমোহন চক্রবর্তী বলেন, “আমরা নিয়মিত কাজের দেখভাল করব। কাজের রিপোর্টও রাখা হবে।” |