|
|
|
|
রূপনারায়ণের ভাঙন পরিদর্শনে প্রতিনিধিদল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রূপনারায়ণের ভাঙনে বিপন্ন কোলাঘাট ও তমলুক। ভাঙনের জেরে চাষ জমি-সহ তমলুকের চরএলাকায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। গত বছরের তুলনায় ভাঙনের তীব্রতা এ বার বেশি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেচ দফতর ভরা বর্ষাতেই ভাঙন রুখতে কাজ করছে। তাতেও কাজ না হওয়ায় আতঙ্ক বাড়ছে দুই এলাকায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার তমলুক ও কোলাঘাট শহরের রূপনারায়ণ তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শনে আসেন রাজ্য বিধানসভার সেচ ও জলসম্পদ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি। স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বিপ্লব রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে ওই দলে ছিলেন দাঁতনের সিপিআই বিধায়ক অরুণ মহাপাত্র, পুরশুড়ার তণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমান, চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক অমিয় ভট্টাচার্য, ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই, করণদিঘির ফব বিধায়ক গোকুল রায় ও মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক। ছিলেন রাজ্যের জলসম্পদ দফতরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও জেলা সেচ দফতরের আধিকারিকেরাও। |
|
তমলুকে রূপনারায়ণের পাড়ে প্রতিনিধিদল। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন সকালে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা প্রথমে কোলাঘাটে যান। কোলাঘাটের নদীতীর সংলগ্ন বাঁধের কিছু জায়গায় ধস নেমেছে। সেচ দফতর সেখানে সাময়িক মেরামতির কাজ করছে। এ দিন স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে স্থায়ী ভাবে নদীবাঁধ মেরামতির দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। দুপুরে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা তমলুক শহরে রূপনারায়ণ তীরবর্তী স্টিমারঘাট ও দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়া এলাকায় যান। উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান মন্ত্রী ও বিধায়ক দলের কাছে।
স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, “তমলুক শহরের চর এলাকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। নদীর মাঝখনে চর সৃষ্টি হওয়ায় শহরে ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে। কোলাঘাটের পরিস্থিতিও বিপজ্জনক। সেচ দফতরকে উপযুক্ত পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।” জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “যে ভাবে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, তাতে আগের পরিকল্পনা বদলাতে হবে। এখন সাময়িক ভাবে ভাঙন রোধের কাজ হচ্ছে। আরও ব্যাপক ভাবে কাজ করতে হবে।” |
|
|
|
|
|