জমা জঞ্জালে রুদ্ধ নালা, দূষণ বাড়ছে
বিভিন্ন এলাকায় জঞ্জাল জমে বেহাল হয়ে পড়েছে আলিপুরদুয়ার পুর এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা। বাসিন্দারা জানাচ্ছে, এতে একধারে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নিকাশি নালাগুলির সাফাই না হওয়ায় বাড়ছে মশা মাছির উপদ্রব। ডেঙ্গি, এনসেফেলাইটিস প্রকোপ বাড়তে থাকায় আতঙ্কে রয়েছেন শহরের বাসিন্দারা। পুরসভা সূত্রের খবর, ডাম্পিং গ্রাউন্ড সমস্যার সমাধান না হওয়ায় প্রায় দুই মাস ধরে শহরের জঞ্জাল সাফাই বন্ধ রেখেছিল পুরসভা। শহরের ২০টি ওয়ার্ডের বেহাল দশায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তার উপরে জঞ্জালে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নর্দমা। আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সমস্যার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পুর এলাকায় সাফাই বন্ধ ছিল। গত ৩০ অগস্ট মহকুমা শাসকের ডাকা সর্বদল বৈঠকে অস্থায়ী ভাবে শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডে একটি খাস জমিতে জঞ্জাল ফেলা হবে বলে ঠিক হয়েছে। শহরের ময়লা পরিস্কারের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ, বুধবার থেকে জঞ্জাল ফেলার কাজ শুরু হবে।” চেয়ারম্যান জানান, মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পুরসভার ২৭ বিঘে জমিতে সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প গড়ে তোলার কাজ শুরু করা হবে। তবে দীর্ঘদিন জঞ্জাল সাফাই বন্ধ থাকায় বেশ কিছু জায়গায় ময়লা জমা নিকাশি বেহাল হয়ে পড়েছে। এতে মশার উপদ্রব বাড়বে। শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাসপাতাল রোডের এক ওষুধ ব্যবসায়ী উত্তম রায় জানান, জঞ্জাল জমে শহরের নিকাশিগুলি বন্ধ হয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধের সাথে মশার উপদ্রব বাড়ছে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অনিতা সাহা জানান, বাড়ির ময়লা রাস্তায় ফেলার পর দীর্ঘ দিন তা জমে পচে দুর্গন্ধ বার হচ্ছে। মশা মাছির উপদ্রব বাড়ছে। শহরের হাসপাতাল রোড, বড় বাজার, নিউটাইন বাজার এলাকা-সহ বিস্তৃর্ণ এলাকায় এখনও ময়লা স্তূপ জমে রয়েছে। প্ল্যাস্টিক জমে বন্ধ হয়ে রয়েছে নিকাশি নালাগুলি। আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “সর্বদল বৈঠকে জঞ্জাল সমস্যার অস্থায়ী সমাধান হয়েছে। দীর্ঘদিন ময়লা জমে থাকায় মশা বেড়েছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.