প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার, গ্রেফতার এক |
প্যাঙ্গোলিনের ৬৩ কিলো আঁশ উদ্ধার হল মিজোরামে। গত কাল আইজলের বাগকন এলাকায় কে মাঙ্গা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে শুল্ক বিভাগের অফিসাররা আঁশভর্তি বস্তা উদ্ধার করে। মাঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের সন্দেহ, ৪০৪ কিলোমিটার বিস্তৃত মিজোরাম-মায়ানমার সীমান্তের কোনও এক অরক্ষিত এলাকা দিয়ে আঁশগুলি পাশের দেশে চালান করে দেওয়াই ছিল মাঙ্গা ও তার শাগরেদদের পরিকল্পনা। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া প্যাঙ্গোলিনের আঁশের মূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। কোথা থেকে আঁশগুলি এল, কোথায় পাঠানো হচ্ছিল, কোন চক্র এর পিছনে রয়েছে-তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। গত বছর অক্টোবর মাসে, শিলচরে, আইজলগামী একটি বাসে হানা দিয়ে শুল্ক বিভাগের অফিসাররা ১৪৪ কিলো প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার করেছিলেন। সে বার দুই মায়ানমারবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছর জুন মাসে কলকাতা বিমানবন্দরে এক মিজো যাত্রীর ব্যাগ থেকেও প্রচুর পরিমাণে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার হয়। বনবিভাগ জানিয়েছে, সাধারণত দক্ষিণ ভারতে প্যাঙ্গোলিন মেলে। সেখানেই প্যাঙ্গোলিন মেরে মিজোরাম সীমান্ত দিয়ে আঁশগুলি চিনে পাচার করা হয়। চিন, তাইওয়ান, হংকং, কোরিয়া, মায়ানমার-সহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ওষুধ নির্মাণের জন্য প্যাঙ্গোলিনের আঁশের বাজারদর বেশ চড়া। অতিরিক্ত প্যাঙ্গোলিন শিকারের ফলে চিনে প্রাণীটি ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত। ভারত, মায়ানমার, তাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াতেও এই পিপীলিকাভুক প্রাণীটি প্রায় বিপন্ন প্রজাতির পর্যায়ে।
|
হাতির দলের হামলায় জখম হলেন এক যুবক, ভেঙে পড়ল মাটির বাড়ি। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার দমদমা গ্রামে। জখম যুবক মোহন লোহারকে বিষ্ণুপুর হাসপাতাল থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় স্ত্রী, দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে আশ্রয়হীন হয়েছেন কার্তিক বাউরি। গ্রামবাসীরা জানান, ২৫টি হাতির ওই দলটিকে তাড়াতে গিয়ে এক দাঁতালের হামলায় জখম হন মোহন। বন দফতরের বিষ্ণুপুর রেঞ্জের আধিকারিক প্রকাশ ওঝা বলেন, “ময়ূরঝর্নার ২৫টি হাতি ওই গ্রামের জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। জখম যুবকের চিকিৎসার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি। আশ্রয়হীন গ্রামবাসীর তাৎক্ষণিক সাহায্যের জন্য ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। হাতিদের উপরে নজর রাখা হচ্ছে।”
|
চা বাগানে হাতির হানায় শ্রমিক আবাস ভাঙলে বন দফতর থেকে এতদিন কোনও ক্ষতিপূরণ মিলত না। তবে চা শ্রমিকেরা যাতে ক্ষতিপূরণ মেলে তার জন্য নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য বন দফতর। মঙ্গলবার নাগরাকাটার শুল্কাপাড়া বনবাংলোয় রাজ্যের উচ্চ পদস্থ বনকর্তাদের নিয়ে বৈঠকের পর ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। বনমন্ত্রী বলেন, “চা বাগানে হাতি ঘর ভাঙলে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হত না। এখন থেকে তা দেওয়া হবে। ক্ষতির ধরণ দেখে টাকার অঙ্ক চূড়ান্ত করা হবে। বিষয়টি কার্যকরী করতে বন দফতরের প্রধান সচিবকে বলা হয়েছে।” তবে কবে থেকে তা কার্যকরী হবে তা অবশ্য বন কর্তারা জানাতে পারেননি। বন দফতরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ।
|
তিন কোটির চন্দন কাঠ উদ্ধার |
প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের তিন ট্রাক চন্দন কাঠ। ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরে। পুলিশ জানায়, অন্ধ্র থেকে আসা রক্তচন্দনের কাঠগুলি মণিপুর থেকে মায়ানমার যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে কাঠগুলির গন্তব্য ছিল চিন। মণিপুর পুলিশের একটি দল পশ্চিম ইম্ফলের সামুরৌ আওয়াং লেইকাই এলাকায় হানা দেয়। সেখানে প্রাক্তন এনসিপি বিধায়ক সালাম জয়ের বাড়ির সামনে তিনটি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ট্রাকগুলি থেকেই ৫৫২টি চন্দন কাঠের গুঁড়ি উদ্ধার হয়। এর পর থেকে প্রাক্তন বিধায়ক পলাতক। এসপি কোনসাম জয়ন্ত সিংহ জানান, কাঠ পাচারের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তামিলনাড়ুর বাসিন্দা মহম্মদ আরিফ খান। রক্তচন্দন বিপন্ন উদ্ভিদের তালিকায় রয়েছে। এর ব্যবসা, পাচার, রফতানি নিষিদ্ধ। চিন ও জাপানে বাদ্যযন্ত্র, আসবাব, ওষুধ তৈরির জন্য চন্দনের বিপুল চাহিদা।
|
বাবা-মা’র সঙ্গে খেতের আল ধরে ফিরছিল চার বছরের সুমাইয়া বশির। হঠাৎই বিদ্যুৎ চমকের মতো চিতাবাঘটি সুমাইয়াকে নিয়ে উধাও। পরে মিলল তার দেহাংশ।
|
সর্পদ্রষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বালিকার। নাম খালিদা খাতুন (১০)। বাড়ি নওদা থানার শিবপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় সে সর্পদষ্ট হয়। এরপর আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। |