টাকা জমা দেওয়ার লাইনে কে আগে দাঁড়াবেন, তা নিয়ে চলছিল ধাক্কাধাক্কি। তার জেরে মঙ্গলবার হাওড়ার শ্যামপুরে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অযোধ্যা গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাই কার্যালয়ের দোতলার পাঁচিল ভেঙে পড়ে গিয়ে জখম হলেন দু’জন। তাঁদের মধ্যে এক জন গুরুতর জখম হন।
এই দুর্ঘটনার পরে বিদ্যুৎ সংযোগের ‘কোটেশন’-এর টাকা জমা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা ওই কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। সংস্থার দু’টি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। বেলপুকুরে বাগনান-শ্যামপুর রাস্তা প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কার্যালয়ে হামলা নিয়ে শ্যামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, অযোধ্যা গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাই কার্যালয়টি রয়েছে বেলপুকুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি ভবনের দোতলায়। এ দিন টাকা জমা দেওয়ার জন্য দোতলার বারান্দায় সকাল ১০টা থেকে গ্রামবাসীরা ভিড় করেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে দুপুর ১২টা নাগাদ। লাইনে কে আগে দাঁড়াবেন তা নিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের মধ্যে গোলমাল থেকে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। তার জেরে বারান্দার পাঁচ ইঞ্চি ইটের গাঁথনির পাঁচিল ভেঙে দুই গ্রামবাসী নীচে পড়ে যান। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ঝুমঝুমি গ্রামীণ হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত শশাটির বাসিন্দা নারায়ণ বেরাকে ‘রেফার’ করা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। |
দুর্ঘটনার পরেই উত্তেজিত জনতা কার্যালয়ের ভিতরে চড়াও হয়ে কয়েকটি আলমারি ভেঙে দেয়। ভয়ে বণ্টন সংস্থার আধিকারিক এবং কর্মীরা একটি ঘরে ঢুকে পড়েন। রাস্তা অবরোধ হয়। প্রথমে পুলিশ এলেও সংখ্যায় অল্প থাকায় তারা জনতাকে বাধা দিতে পারেনি। পরে বিশাল বাহিনী আসে। দেড়টা নাগাদ বাগনান-শ্যামপুর রাস্তায় ফের যান চলাচল শুরু হয়। বন্টন সংস্থার এক আধিকারিক জানান, এই এলাকার প্রায় প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে। তার ফলে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে আগ্রহী গ্রামবাসীরা বণ্টন সংস্থার কার্যালয়ে ভিড় করেন। ‘কোটেশন’-এ ফর্ম বিলির পরে টাকা জমা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হচ্ছে না বলে যে অভিযোগ গ্রামবাসীরা তুলেছেন, তা অস্বীকার করেছেন ওই আধিকারিক।
চোলাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান পুড়শুড়ায়। মঙ্গলবার সকালে পুড়শুড়ার রাউতারায় চোলাই মদের বিরুদ্ধে যৌথ ভাবে অভিযান চালাল পুলিশ ও আবগারি দফতর। প্রায় ৮ হাজার লিটার চোলাই মদ এবং মদ তৈরির কাঁচামাল নষ্ট করে দেওয়া হয়। মদ তৈরির ৫টি যন্ত্রও ভেঙে দেওয়া হয়। তবে, কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। |