ট্রেনে ভিড়, ছিটকে পড়ে জখম যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
রোজ সকালে অফিস-টাইমে কাটোয়ামুখী ডাউন আজিমগঞ্জ ট্রেনে কার্যত বাদুরঝোলা হয়েই যাতায়াত করেন যাত্রীরা। সোমবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই ট্রেনের দরজার হাতল কোনও মতে ধরে কাটোয়ায় যাচ্ছিলেন বীরভূমের আমোদপুরের বাসিন্দা সাজিদ শেখ। কেতুগ্রামের শিবলুন স্টেশন ছাড়ার পরেই তিনি ট্রেন থেকে পড়ে যান। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রেল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সাজিদ ও তাঁর বোন হাসিনা বেগম কাটোয়ার কেশিয়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসছিলেন। আমোদপুর থেকে তাঁরা ছোট লাইনের ট্রেনে চাপেন। অম্বলগ্রাম স্টেশনে নেমে পড়েন। তার পরে শিবলুন স্টেশন থেকে তাঁরা কাটোয়া-আজিমগঞ্জ ব্রডগেজ ট্রেনটি ধরেছিলেন। হাসিনা বেগমের দাবি, “ট্রেনটিতে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। আমি কোনও রকমে বাথরুমের সামনে গিয়ে দাঁড়াই। দাদা পা-দানিতে দাঁড়িয়েছিল। ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পড়েই দাদা ছিটকে পড়ে।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জখম অবস্থায় সাজিদকে প্রথমে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসার পরে সাজিদকে কাটোয়া রেল হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই লাইনের নিত্যযাত্রী সংগঠনের নেতা চঞ্চল পানের অভিযোগ, “নিত্যদিন অফিস টাইমে ট্রেনটিতে প্রচণ্ড ভিড় হয়। অথচ ট্রেনটি মাত্র সাত কামরার। আমরা ট্রেনটির কামরা বাড়ানোর জন্য বারবার দাবি জানিয়েছি।” ট্রেনে ভিড় হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কাটোয়ার স্টেশন ম্যানেজার দিলীপকুমার মণ্ডল। তিনি বলেন, “ওই ট্রেনের কামরা বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।”
|
‘ছিনতাই’, মৃত্যু গণপিটুনিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
এক ভ্যান রিক্সা চালকের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়েছিল দুই দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রথতলা বাজারের কাছে এক জনকে পিটিয়ে মারল জনতা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে শহরের জি টি রোড বাইপাসে আনজিরবাগান আন্ডারপাসে। ওই ভ্যানচালকের দাবি, ছিনতাইয়ে জড়িত এক জনকে তিনি চিনে ফেলেন। তাঁর নাম সিকান্দার পোদ্দার (২৩)। বাড়ি স্থানীয় রথতলা-পদ্মপুকুর এলাকায়। পদ্মপুকুর মোড়ে গিয়ে ওই ভ্যানচালক ঘটনার কথা জানালে স্থানীয় কয়েক জন একটি ভাটিখানা থেকে সিকান্দারকে ধরে আনে। শুরু হয় গণপিটুনি। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় সিকান্দারকে একটি ভ্যানে তুলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, সিকান্দারের নামে এর আগে বর্ধমান ও গলসি থানায় নানা অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ ছিল। সে জন্য তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। রবিবারের ঘটনায় একটি ছিনতাই ও একটি গণপ্রহারে মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
|
হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধৃত ৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
হেরোইন বিক্রির অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল কাটোয়া ও পাত্রসায়র থানার পুলিশ। রবিবার রাতে কাটোয়া শহর সংলগ্ন কেশিয়া থেকে তাদের ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রহিম শেখ, সরোজ দাস ও অজিত দাস। রহিমের বাড়ি কেশিয়ায়। সরোজ ও অজিতের বাড়ি যথাক্রমে ব্যান্ডেলের ঠাকুরতলা ও উত্তর চব্বিশ পরগনার বীজপুরে। অজিত ও সরোজ বেশ কিছু দিন ধরে রহিমের বাড়িতে থাকছিল বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে কাটোয়ার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা কাশেম শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পাত্রসায়র থানার পুলিশ। তাকে জেরা করে মেলা সূত্র ধরে বাকিদের ধরা হয়।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
মহকুমা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভায় ‘সাংবাদিকতায় মানবিকতা’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা হল কাটোয়ায়। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি অধিগ্রহণ) উৎপল বিশ্বাস, ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) তরুণ হালদার। |