মন্তেশ্বরের কৃষি সমবায়ের পরিচালন সমিতির ভোটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ২৫ জনকে। ধৃতদের মধ্যে ৭ জন মহিলা। সোমবার দুপুরে তাদের কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হলে অভিযুক্ত ৭ মহিলা-সহ ৮ জনের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। বাকিদের ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রবিবার দুপুরে মন্তেশ্বরের বাঘাসন পঞ্চায়েতের হোসেনপুর কৃষি সমবায়ের ভোটকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। আহত হন তিন জন পুলিশকর্মী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত পর্যন্ত ওই পঞ্চায়েতের তারাশুশুনিয়া ও হোসেনপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা রয়েছেন বলে দাবি করেছে তিন দলই। তবে প্রতিটি দলই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |
স্থানীয় কংগ্রেস নেতা জ্যোতির্ময় মণ্ডল জানান, তাদের ৭ জন প্রার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর দাবি, “ঘটনার পরে আমাদের সাত জন একটি ঘরে বসেছিলেন। পুলিশ তাঁদের আশ্বাস দেয়, গণ্ডগোল মিটলে তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। অথচ রাতে তাঁদেরই গ্রেফতার করা হয়।” রবিবার বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর জন্য সিপিএমকে দায়ী করলেও এ দিন তিনি দাবি করেন, “তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে।” তৃণমূল অবশ্য তা অস্বীকার করেছে।
তৃণমূলের মন্তেশ্বর ব্লক সভাপতি অজয় রায়ের দাবি, হামলায় জড়িত না থাকা সত্ত্বেও গোপাল ঘোষ, পূর্ণিমা ঘোষ ও গদাই ঘোষ নামে তাদের তিন সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “রবিবারের ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ায় যারা জড়িত ছিল তাদের গ্রেফতার করা হয়নি।” সিপিএমের মেমারি ২ জোনাল কমিটি সূত্রেও জানানো হয়, ধৃতদের তালিকায় তাঁদের বেশ কয়েক জন কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। যদিও তাঁরা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন বলেই দাবি সিপিএমের।
মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বিশৃঙ্খলা ছড়ানোয় জড়িতদেরই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। |