পুজোর আগেই ইসলামপুর শহর ঢেলে সাজতে উদ্যোগী পুরসভা ও মহকুমা প্রশাসন। শহরের ট্রাফিক পরিকাঠামোও ঢেলে সাজা হবে হলে জানা গিয়েছে। শহরে চালু হবে অত্যাধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা। পুরসভা ও মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর এর জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা অনুমোদন মিলেছে। ট্রাফিক পরিকাঠামো নির্মাণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। সে কারণেই পুজোর সময়ে শহরে যানজট নিয়ে কোনও সমস্যাই হবে না বলে আশাবাদী পুর ও মহকুমা আধিকারিকরা। ইসলামপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধরী বলেন, “ইসলামপুর শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার খুবই প্রয়োজন। সে কারণেই ওই ট্রাফিকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরে ক্লোজড্ সার্কিট ক্যামেরাও বসানো হবে।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও সুরাহা হয় নি। ট্রাফিক বিধি ভেঙে শহরে বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক যেমন দাড়িয়ে থাকে তেমনিই শহরের ব্যস্ত এলাকাগুলিতেও যত্রতত্র ট্রাক, ট্রেকার বা ছোট গাড়ির স্ট্যান্ড গজিয়ে ওঠে। সব জানলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয় না বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। শহরের বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক জীবেশ ঘোষ বলেন, “প্রশাসন তৎপর হলেই এই নিত্যনৈমিত্যিক দুর্ঘটনা রোখা যায়। শহরের ৩১ নং জাতীয় সড়কের উপর যে হারে গর্ত তৈরি হয়েছে তা সংষ্কার না করলে রাস্তা দিয়ে হাটাচলা করাই মুশকিল।” ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল জানান, “শহরে অত্যাধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু হচ্ছে খুব শীঘ্রই। পাশাপাশি, শহরের রাস্তায় কিছু লোহার ব্যারিকেড তৈরি হচ্ছে। সেগুলি এলেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজটি করতে আরো সুবিধে হবে। শহরে অবৈধ পার্কিং রোধে চেষ্টা চলছে।” ইসলামপুর শহরের মিলন পল্লী এলাকা থেকে শ্রীকৃষ্ণপুর পর্যন্ত প্রায় ৮ জায়গায় অত্যাধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল বসবে। সিগন্যাল প্রতি খরচ হবে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। শহরের রাস্তার যে পাশে পথবাতি বসানো আছে তার উল্টো দিকে বসবে ট্রাফিক সিগন্যাল। এছাড়াও শহরের বেশ কয়েকটি এলাকাতে সিসিটিভি ক্যামেরাও বসলে শহরে ছিনতাই বা অপরাধ অনেকাংশে কমবে. বলে পুলিশ কর্তাদের দাবি। পুজোর আগেই শহর সাজতে পুরসভার পক্ষ থেকে ৫০টি অত্যাধুনিক পথবাতি বসানো হচ্ছে। ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়া লাল অগ্রবাল বলেন, “আশা করা যায় পুজোর আগেই কাজ শেষ হবে। এর পাশাপাশি শহরকে সুন্দর করে সাজাতে পুরসভার পক্ষ থেকে আপাতত শহরে ৫০টি পথ বাতিও বসানো হচ্ছে।” |