মোর্চা সমর্থিত তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজিত করে স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে সব ক’টি আসনে জয়ী হলেন কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন প্রার্থীরা। রবিবার বাগডোগরার গাঁধী মেমোরিয়াল নেপালি হাই স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচনের ঘটনা। এ দিন ৬ টি আসনেই জিতেছেন তাঁদের প্রার্থীরা। মোর্চার সমর্থন নিয়েও তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ওই স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে জিততে না-পারার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেস-তৃণমূল জোট না হওয়ার জেরে তৃণমূলকে পিছিয়ে পড়তে হওয়ায় বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে লড়ছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তৃণমূলের নকশালবাড়ি ব্লক সভাপতি গৌতম কীর্তনীয়া বলেন, “কংগ্রেস, সিপিএম এক হয়ে লড়েছে। তাদের সঙ্গে ছিল এলাকার বিক্ষুব্ধ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার লোকজনও। আমাদের পক্ষে থাকা মোর্চার প্রভাবও ততটা কাজ করেনি। তা ছাড়া অর্থের জোরে কংগ্রেস ভোট করিয়েছে।” গৌতমবাবুর দাবি, জোট করে স্কুল পরিচালন সমিতির বোর্ড গড়তে চেয়েছিলেন তাঁরা। সেই মতো মোট ৬ টির মধ্যে ৩টি আসন এবং সম্পাদকের পদ দাবি করেন গৌতমবাবুরা। কংগ্রেস তা মেনে নেয়নি। কংগ্রেস এবং তৃণমূল আলাদা ভাবে প্রার্থী দেয়। বাগডোগরা অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তী, আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা কংগ্রেস নেতা বিশ্বজিৎ দাসরা জানান, তৃণমূলের সংগঠন এলাকায় সক্রিয় নয়। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “মানুষ যে আমাদের চেয়েছেন তা স্পষ্ট। তৃণমূলের নেতারা তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে না থাকলে তৃণমূলের কী পরিস্থিতি হতে পারে এটা তার একটা উদাহরণ। জিততে না পেরে আমরা সিপিএমের সমর্থন নিয়েছি বলে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।” ওই স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থন বা ভোটের ময়দানে থাকা নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁরা কোনও প্রার্থী দেননি বা কাউকে সমর্থনও করেননি। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার স্থানীয় নেতা বিমল প্রধান জানান, তাঁরা বাইরে থেকে তৃণমূল মনোভাবাপন্ন প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলেন। |