নেশার টাকা জোটাতে গভীর রাতে হাসপাতালে ঢুকে মোবাইল চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে ছিল এক মাদকাসক্ত যুবক। এর পর গণপিটুনিতে সে প্রাণ হারিয়েছিল। এবার নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য চুরি করতে গিয়ে এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল আর এক মাদকাসক্ত যুবক। মাসখানেক আগে জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধাকে খুনের ঘটনায় ওই মাদকাসক্ত যুবককে শনিবার রাতে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ৪ অগস্ট রাতে নিঃসঙ্গ ওই বৃদ্ধাকে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। ধৃতের নাম ভোলা দে। অভিযুক্ত বৃদ্ধারই প্রতিবেশী। ঘটনার রাত থেকেই তার কোনও খোঁজ মিলছিল না। মাদকাসক্ত ভোলার বিরুদ্ধে আগেও বেশ কয়েকটি চুরির অভিযোগ ছিল। সে কারণে খুনের পর দিন ভোলার খোঁজ করে পুলিশের তদন্তকারী দল। বাড়ির লোকেরাও পুলিশকে ভোলার কোনও হদিস দিতে না পারায় পুলিশের সন্দেহ দৃঢ় হয়। গত সপ্তাহে পুলিশের কাছে খবর আসে, শহরের দিন বাজারের একটি এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে আছে ভোলা। সেই মতো অভিযান চালিয়ে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। জেলা পুলিশের সদর ডিএসপি প্রভাত চক্রবর্তী বলেন, “ধৃত ব্যক্তি জেরায় খুনের ঘটনা কবুল করেছে। পুলিশকে সে জানিয়েছে, টাকা চুরি করতে গিয়ে বৃদ্ধার কাছে ধরা পড়ে যাওয়াতেই তাঁকে খুন করেছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, কিছুদিন ধরেই টাকার জন্য বাড়িতে চাপাচাপি করছিল ভোলা। গত ৪অগস্ট রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে ভোলা দেখে বাড়ির সদর দরজা তালা বন্ধ। সে সময় পাশেই কল্পনা দেবীর বাড়িতে ঢোকে সে। ওই সময় কল্পনা দেবীর বাড়ির দরজা ভেজানো ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ঘরে ঢুকে আলমারি খোলে ভোলা। সে সময়ে শব্দ পেয়ে কল্পনা দেবী জেগে ওঠে বলে ভোলা জেরার সময় জানিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ জানায়, জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, কল্পনা দেবী জেগে উঠে চোর চোর বলে চিৎকার জুড়ে দেওয়াতে ধরা পড়ার ভয়ে সে কল্পনা দেবীর গলা টিপে ধরে। আত্মরক্ষার কারণে কল্পনা দেবী বিছানায় বঁটি নিয়ে শুতেন। সেই বঁটি দিয়েই কল্পনা দেবীর মাথায় আঘাত করে ভোলা। আঘাতের পরেই ফিনকি দিয়ে রক্ত বার হতে থাকায় ভোলা পালিয়ে যায়। |