সাধারণ মানুষকে সহায়তা করতে রবিবার থেকে আইনি পরিষেবা কেন্দ্র চালু হল। এদিন শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কথা জানান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তথা রাজ্য আইনি পরিষেবা সমিতির কার্যকারি সভাপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত। তিনি জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিংয়ে বেশ কয়েকটি আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ওই আইনি পরিষেবা কেন্দ্র চালু হয়েছে। মূলত পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে ওই সহায়তা কেন্দ্র চালু করার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে। সাধারণ গরিব মানুষরা অনেকেই আইনের সুযোগ-সুবিধে নিয়ে বিশেষ কিছু জানেন না। তাঁদের যাতে আইনি পরিষেবা দেওয়া যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ওই পরিষেবা চালু করা হয়েছে।” ঠিক কী কী ধরণের সমস্যা ওই কেন্দ্রগুলি থেকে মেটানো হবে? সে ব্যপারে বিচারপতি জানান, কোনও দোকান থেকে কিছু কিনে প্রতারিত হলে ওই কেন্দ্রে সহায়তা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বাড়িতে টেলিফোন বা বিদ্যুৎ যোগাযোগ নিতে কোনও সমস্যা হলে সহায়তা মিলবে ওই কেন্দ্রের। বিচারপতি বলেন, “ধরুন আপনি কোনও জিনিস কিনেছেন। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দেখছেন সেটি কাজ করছে না। দোকানে নিয়ে গেলে ফেরত নিতে চাইছে না। সেই অবস্থায় আইনি পরিষেবা কেন্দ্রে অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে খুন বা ধর্ষণের মতো বিষয়গুলি ওই কেন্দ্রের মাধ্যমে মেটানো যাবে না।” |
তিনি জানান, প্রত্যেকটি কেন্দ্রে কমপক্ষে চারজন করে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হচ্ছে। তাঁদের দৈনিক হিসেবে ২৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে আইন বিষয়ক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকা বিভিন্ন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক কেন্দ্র এলাকায় সপ্তাহের শনি ও রবিবার লোক আদালত বসানো হবে। সেখানেই বিভিন্ন অভিযোগ মেটানোর চেষ্টা করা হবে। লোক আদালতের বিচারক হিসেবে একজন প্রবীণ আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এবং এলাকার সমাজসেবীদের রাখা হবে। তিনি বলেন, “ধীরে ধীরে রাজ্যের সর্বত্র ওই সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করা হবে। আইন বিষয়ে যাদের জ্ঞান রয়েছে তাঁদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে।” শিলিগুড়ির শিবমন্দির, মাটিগাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, দাগাপুর সহ বেশ কয়েকক জায়গায় দার্জিলিং জেলা লিগাল এইড ফোরামের উদ্যোগে ওই কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের ক্লাব রোডে অনাথ অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের আবাসস্থল ‘অনুভব’-এ একটি আইনি সহায়তা (লিগাল এইড ক্লিনিক) কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন বিচারপতি। |