খেলার খবর |
১৯কিমিতে প্রথম প্রিয়াঙ্কা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
|
|
ঠান্ডার ধাত থেকে রেহাই পেতে চিকিৎসকের পরামর্শে মেয়েকে সুইমিং পুলে ভর্তি করে দেন বাবা-মা। তখন বয়স ৬ বছর। সেই শুরু। পরে সেই মেয়ে জাতীয় স্তরে বাংলার হয়ে ২০০ মিটার ও ৫০ মিটার বাটারাফ্লাই বিভাগে পদক জিতে এনেছে। সেই মেয়ে প্রিয়াঙ্কা কর্মকার এবছর ১৯ কিমি সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ওই পথ পার হতে তাঁর সময় লেগেছে ২ ঘন্টা ১৭ মিনিট ২৬ সেকেন্ড। উত্তর ২৪ পরগণার শ্যামনগর গার্লস স্কুলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কা বলেন, “ছেলেবেলায় খুব সর্দি-কাশিতে ভুগতাম। কিছু দিন অন্তর ঠাণ্ডা লেগে যেত। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে আমাকে সাঁতার শেখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পরে সুইমিং পুলের জলে সময় কাটাতে কাটাতে কখন যেন সাঁতারকে ভালবেসে ফেলেছি।” |
|
প্রিয়াঙ্কা কর্মকার। |
পেশায় ব্যবসায়ী বাবা প্রদীপ কর্মকার ও মা লিনু কর্মকারের একমাত্র সন্তান প্রিয়াঙ্কা শ্যামনগর অন্নপূর্ণা সুইমিং সেন্টারের হয়ে সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রিয় ইভেন্ট বাটারফ্লাই। লিনুদেবী বলেন, “একাদশ শ্রেণিতে ওঠার পরেই পড়াশোনার জন্য গত প্রায় এক বছর জলে নামেনি মেয়ে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগে দেড় মাস মাত্র অনুশীলন করেছে।” কলা বিভাগের ওই ছাত্রী প্রতি দিন সকাল-বিকেল মিলিয়ে ২ ঘন্টা অনুশীলন করে থাকেন। অনুশীলন শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়া। পর দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে জলে এক ঘন্টা সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরে পড়াশোনা করে স্কুলে যাওয়াএভাবেই ধরাবাঁধা রুটিনের মধ্যে থেকেই বড় সাঁতারু হওয়ার স্বপ্ন বুনে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা। |
|
৮১ কিমিতে দ্বিতীয় চন্দন বসাক এবং তৃতীয় পলাশ বারিক। |
১৯ কিমি সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগে কলেজ স্কোয়ারের জলে সাত দিন অনুশীলন করেই সাফল্য পেয়েছে মধুলেখা হাজরা। রবিবার জিয়াগঞ্জ সদর ঘাট থেকে ১৯ কিমি মহিলা বিভাগে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় হন কলকাতা কলেজ স্ট্রিটের বাসিন্দা মধুলেখা। লরেটো ডে (বৌবাজার) স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মধুলেখা বলেন, “স্কুলের সাপ্তাহিক পরীক্ষা থাকার জন্য অনুশীলন করতে পারিনি। পরীক্ষা শেষে সাত দিন সময় পেয়েছি অনুশীলনের। এত কম সময় অনুশীলন করে সাফল্য মিলবে ভাবতে পারিনি। ফলে অন্য রকম আনন্দ কাজ রয়েছে।” বাবা বেসরকারি সংস্থার কর্মী অঞ্জন হাজরা ও মা দীপ্তি হাজরার একমাত্র সন্তান ওই প্রতিযোগী। দীপ্তিদেবী বলেন, “প্রতি দিন সকাল ৫টায় ঘুম থেকে উঠে কলেজ স্কোয়ারে গিয়ে ৬টা-সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সাঁতার অনুশীলন করে।”
|
—নিজস্ব চিত্র। |
|