|
|
|
|
স্কুলে দু’লক্ষ দান শিক্ষিকার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
অবসর নেওয়ার দিন স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে দু’লক্ষ টাকা দান করলেন এক শিক্ষিকা। জ্যোৎস্না জানা মণ্ডল নামে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর হাইস্কুলের ওই শিক্ষিকা অবশ্য এখানেই থেমে নেই। এলাকার দুঃস্থ পড়ুয়াদের বিনা পারিশ্রমিকে পড়িয়ে অবসর সময়টা কাটাতে চান তিনি।
অনেক অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়ে পড়াশোনা করেছেন জ্যোৎস্নাদেবী। দর্শনে সাম্মানিক স্নাতক হলেও স্কুলে বাংলার শিক্ষিকা হিসেবেই ছাত্রছাত্রীদের কাছে প্রিয় ছিলেন তিনি। সহকর্মীদের কাছেও পরিচিত ‘বড়দি’ নামে। ১৯৮৭ সাল থেকে এই স্কুলে রয়েছেন। জ্যোৎস্নাদেবী বলেন, “আমার স্বামী শুভেন্দু মণ্ডলও এই স্কুলের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। উনি অবসর নেওয়ার পরে স্কুলকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন আর্থিক কারণেই সম্ভব হয়নি। এত দিনে তাঁর আশাপূরণ করতে পেরে আমার স্বপ্নপূরণ হল।” |
|
জ্যোৎস্না জানা মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র। |
স্কুলের সহ-প্রধান শিক্ষক অশোককুমার মিশ্র বলেন, “নিজে আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে পড়াশোনা করেছেন বলে বরাবরই স্কুলের দুঃস্থ মেধাবীদের বই বা টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন বড়দি। ক্লাসের বাইরেও সময় দিয়েছেন তাদের।” স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক সফিউল্লা মল্লিক জানান, স্কুলে দু’হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী অথচ পর্যাপ্ত ঘর নেই। সরকারি সাহায্য মিললেও তাতে অভাব মেটে না। তিনি বলেন, “শুভেন্দুবাবুও স্কুলকে এই কারণেই সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। বড়দিও তাই করলেন।”
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক লক্ষ আশি হাজার টাকা শ্রেণিকক্ষ নির্মাণে এবং বাকি কুড়ি হাজার টাকার বার্ষিক সুদে বাণিজ্য বিভাগের সেরা ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক প্রতাপরঞ্জন হাজরা বলেন, “বড়দির শিক্ষকতা, ব্যক্তিগত জীবন ও আদর্শ সকলের কাছেই উদাহরণ হয়ে থাকবে।” |
|
|
|
|
|