|
|
|
|
পাঁশকুড়া ফুলবাজার |
পুজোর আগেই বন্ধ হিমঘর চালুর উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বন্ধ থাকা হিমঘর পুজোর আগেই ফের চালুর সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ফুলবাজারের নবগঠিত পরিচালন সমিতি।
শনিবার পরিচালন সমিতির প্রথম বৈঠকে জেলার একমাত্র সরকারি ফুলবাজারের অচলাবস্থা দূর করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সমিতির সভাপতি তথা পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খান বলেন, “ফুল সংরক্ষণের হিমঘরটি দীর্ঘ দিন ধরে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের কাছে বাজারের গুরুত্ব কমে গিয়েছিল। এ দিনের বৈঠকে ওই হিমঘর পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পূজার আগেই হিমঘর চালুর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুরপ্রধান আরও বলেন, “বর্তমানে ফুলবাজার থেকে যে আয় হয়, তা দিয়ে বাজার পরিচালনার খরচ চলে না। তাই ফুলবাজারে যাতে আরও চাষি, ব্যবসায়ীরা আসেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি যোগাযোগের সুবিধার জন্য ফুলবাজারের সামনে জাতীয় সড়কে বাসস্টপ চালু করার ভাবনা-চিন্তা চলছে।” এ ছাড়াও বাজার চত্বরে থাকা আগাছা-সহ জঞ্জাল পরিষ্কার করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। সোমবার থেকেই পুরসভা ওই কাজ করবে। বাজার চত্বর সংলগ্ন এলাকায় পুরসভার পক্ষ থেকে আলোর ব্যবস্থা করা হবে। ফুলবাজার এখন কেবল সন্ধ্যায় বসে। এই বাজার যাতে সকালেও বসে তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে পরিচালন সমিতি।
ফুলচাষিদের দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামের কাছে কনকপুর এলাকায় প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে হিমঘর-সহ ফুলবাজার গড়ে ওঠে ২০০৪ সালে। প্রথম দিকে ফুল ব্যবসায়ী ও চাষিদের ভিড়ে জমজমাট ছিল ফুলবাজার। কিন্তু কয়েকমাস পরেই নিম্ন মানের হিমঘরটি অচল হয়ে পড়ে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের কাছে গুরুত্ব হারায় ওই ফুলবাজার। ফুলবাজারের অচলাবস্থা দূর করতে নতুন রাজ্য সরকারের উদ্যান পালন দফতরের মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রী গত এপ্রিল মাসে ফুলবাজার পরিদর্শনে আসেন। রাজ্য উদ্যান পালন দফতরের উদ্যোগেই ফুলবাজার পরিচালনার জন্য নতুন কমিটি গড়া হয়েছে সম্প্রতি। নবগঠিত কমিটির ১৩ জন সদস্যকে নিয়ে প্রথম বৈঠক হয় শনিবার। সেই বৈঠকেই ফুলবাজারের পরিকাঠামো উন্নয়নে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। |
|
|
|
|
|