|
|
|
|
জঙ্গলমহলে গণবন্টন, গুরুত্ব পরিকাঠামোয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জঙ্গলমহলের তফসিলি উপজাতির সব মানুষকে ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার ঘোষণা আগেই হয়েছিল। কিন্তু এ জন্য পরিকাঠোমা উন্নয়ন প্রয়োজন। নাহলে জঙ্গলমহলে খাদ্য সুনিশ্চিত করা কঠিন। এ নিয়েই রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করলেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা। মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে বৈঠক শেষে খাদ্য দফতরের ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিক্ট প্রোক্রিওরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই) জয়দেব জানা বলেন, “সব মানুষের কাছে কী ভাবে সহজে গণবণ্টন ব্যবস্থার সুফল পৌঁছে দেওয়া যায়, সে ব্যাপারেই আলোচনা হল। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। দ্রুত সেই সব সমস্যা মিটিয়ে গণবণ্টন ব্যবস্থাকে সকলের নাগালের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তা সকলে পাচ্ছেন কি না তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
মেদিনীপুরে খাদ্য দফতরের ডিরেক্টর (ডান দিকে), জেলাশাসক প্রমুখ। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে গণবন্টন ব্যবস্থার সুবিধে পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই ১৭টি অতিরিক্ত কাউন্টার খোলা হয়েছে। এ বার কাউন্টারগুলির জন্য স্থায়ী বাড়ি বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যানে’র টাকায় তা করার কথা। এ জন্য জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। অতিরিক্ত কাউন্টারগুলি গুলি স্ব-সহায়ক দলকে দিয়ে চালানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে খাদ্য দফতর। জঙ্গলমহলে খাদ্যশস্য মজুতের জন্য কমপক্ষে তিনটি বড় গুদাম তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল খাদ্য দফতর। গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম ও শালবনিতে এই গুদাম হওয়ার কথা। গোপীবল্লভপুরের জমি দেখার কাজ শেষ। চলতি বছরেই সেখানে গুদাম তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। জোর দেওয়া হয়েছে পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতিতেও। পাশাপাশি পুরনো কার্ড জমা নেওয়া ও নতুন কার্ড বিলির প্রক্রিয়া যথাযথ ভাবে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিন বৈঠকে ছিলেন খাদ্য দফতরের সচিব সৈয়দ আহমেদ বাবা, জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) রজতকান্তি সাইনি, জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায় প্রমুখ। আজ, সোমবার বাঁকুড়া ও কাল, মঙ্গলবার পুরুলিয়াতেও এই বৈঠক হবে।
|
|
|
|
|
|