|
|
|
|
নিশানায় তৃণমূলের পুরপ্রধান |
দুর্নীতির অভিযোগ খড়ার পুরসভাতেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
চন্দ্রকোনার পর এ বার তৃণমূল পরিচালিত খড়ার পুরসভাতেও দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠতে শুরু করল। সম্প্রতি উপপুরপ্রধান অরূপ রায় পদ থেকে অব্যহতি চেয়ে পুরপ্রধানকে চিঠি দেওয়ার পরে তৃণমূল কাউন্সিলরদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বও সামনে এসেছে। যদিও তাঁর আবেদন গ্রহণ করেননি পুরপ্রধান উত্তম মুখোপাধ্যায়। অরূপবাবুর ইস্তফা দেওয়ার কথাও স্বীকার করেননি তিনি। পদত্যাগের কারণ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি অরূপবাবুও। তিনি শুধু বলেন, “আমি লিখিত ভাবে পদত্যাগের আবেদন জানিয়েছিলাম। তা গ্রহণ হয়নি। এখন পুরসভায় যাচ্ছি না।” কেন যাচ্ছেন না জানতে চাইলে অরূপবাবুর মন্তব্য, “আমার যা বলার দলকে জানিয়েছি। দলীয় নেতৃত্বের কাছে জেনে নিন। আমি কিছু বলব না।” তৃণমূলের ঘাটাল ব্লকের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ মাঝি বলেন, “খড়ারে নিজেদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি শুরু হয়েছে। দলীয় ভাবে তা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে খড়ার পুরসভায় ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। গত পুর-নির্বাচনে এলাকায় সেই অর্থে সাংগঠনিক ভিত না থাকা সত্ত্বেও পুরসভার দখল নেয় তৃণমূল। ১০টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল ৬টি আসন দখল করে। আর সিপিএম ৪টি আসন পায়। অভিযোগ, প্রথম দিকে সব কিছু ঠিকঠাক চললেও এখন প্রকাশ্যেই নানা অনিয়ম-বেনিয়ম চলছে। অভিযোগটা মূলত পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে। পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। উপপুরপ্রধান অরূপ রায় বলেন, “যখন সিপিএম ক্ষমতায় ছিল, তখনও একমাত্র আমিই কাউন্সিলর ছিলাম। এখন আমাদের দল ক্ষমতায় থাকলেও আমার কথার কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এমনকী আমার ওয়ার্ডে কী কাজ হচ্ছে, তা-ও জানতে পারছি না।” দলীয় কাউন্সিলরদের কোন্দলের প্রভাব পড়ছে এলাকার উন্নয়নে। বাসস্ট্যান্ড, পার্ক, জিম, সুপার মার্কেটের কাজ চললেও তা দেখভাল করা হচ্ছে না ঠিক মতো। যার সুযোগে ঠিকাদাররা নিজেদের মতো করেই শ্লথ গতিতে এবং নিম্নমানের মালপত্র দিয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের ফাল্গুনী বীর বলেন, “পুরোপুরি সরকারি আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে খড়ার পুরসভা। নিয়মমাফিক বোর্ড মিটিং হয় না। সবই চেয়ারম্যান নিজে সিদ্ধান্ত নেন। আমাদের মতামতকে কোনও পাত্তা দেওয়া হয় না। তাই আমরা পুরসভায় যাওয়া ছেড়ে দিয়েছি।”
পুরপ্রধান উত্তম মুখোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, “পুরসভা ঠিকঠাকই চলছে। কোনও গণ্ডগোল হয়নি। স্বচ্ছ ভাবেই টেন্ডার প্রক্রিয়া করা হয়। ঠিক সময়ে বোর্ড মিটিংও হয়। সবাইকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। সব অভিযোগই মিথ্যা।” |
|
|
|
|
|