|
|
|
|
উঠল পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গ |
কাজের পর্যালোচনায় ফের বিডিওদের বৈঠক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এ বার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকেও উঠে এল পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গ। এই নির্বাচনের জন্য বিডিওদের প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। শনিবার জেলার সব বিডিওদের নিয়ে বৈঠক করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত। সেখানেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে রাখার জন্য বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, এটা রুটিন বৈঠক। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “বিভিন্ন প্রকল্পের পর্যালোচনা করতেই এই বৈঠক। কাজ এগোতে কী সমস্যা হচ্ছে, কী ভাবে বা সমস্যা দূর হবে, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।”
কয়েক সপ্তাহ আগেই বিডিওদের নিয়ে এক বৈঠক করেছিলেন জেলাশাসক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেলপাহাড়ি সফরের পরপরই ওই বৈঠক হয়। ফের বিডিওদের নিয়ে বৈঠক কেন? জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “ওই বৈঠকটি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরকে কেন্দ্র করে। ৮ অগস্ট ঝাড়গ্রামে এসে প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে তিনি বিডিওদের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, নতুন সরকারের দেড় বছরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়নি। তাহলে উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে কেন? এরপরই জেলাশাসক বিডিওদের নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন। জানিয়ে দেন, সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে। বিডিওদেরই বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে ‘বাড়তি’ নজরদারি করতে হবে।” ওই আধিকারিকের কথায়, “এ বারের বৈঠকটি ডাকা হয় বিভিন্ন কাজের পর্যালোচনা করতে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, একশো দিনের কাজের কী পরিস্থিতি, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ কী ভাবে চলছে, সংখ্যালঘুদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ কী ভাবে চলছে, এ সবই উঠে আসে আলোচনায়। ব্লক ধরে ধরে কাজের পর্যালোচনা করা হয়। যে ব্লক কোনও একটি প্রকল্পের নিরিখে ‘পিছিয়ে’ রয়েছে, তার বিডিও’র কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন এই পরিস্থিতি। পাশাপাশি যে ব্লক ওই প্রকল্পের কাজে ‘এগিয়ে’ রয়েছে, তার বিডিও’কে জিজ্ঞাসা করা হয়, কী ভাবে ভাল কাজ করা সম্ভব হল। সেচ, পানীয় জল, রাস্তা তৈরি ও সংস্কার থেকে শুরু করে নানাবিধ উন্নয়ন পরিকল্পনার কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক শম্পা হাজরা-সহ জেলার মহকুমাশাসকেরাও। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বৈঠক চলাকালীন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গও উঠে আসে। ওই নির্বাচনের জন্য বিডিওদের কী কী প্রস্তুতি সেরে রাখা প্রয়োজন, তা জানানো হয়। কারণ, নির্বাচনে বিডিওদেরই রিটার্নিং অফিসারের (আর ও) পদে বসতে হবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, “বৈঠকে নির্বাচন প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। কী কী করণীয়, তা বিডিওদের জানানো হয়েছে। এটা প্রশাসনিক ব্যাপার।” |
|
|
|
|
|