|
|
|
|
অনাস্থা-জটের জের খড়্গপুর পুরসভায় |
মাস পয়লায় হল না বেতন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রতি মাসের ১ তারিখেই বেতন মেলে। তবে এ বার তা হল না। অনাস্থা সংক্রান্ত জটিলতার জেরে খড়্গপুর পুরসভার কর্মীরা কবে বেতন পাবেন, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। এর ফলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে পুরসভার স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে।
এমন পরিস্থিতির আশঙ্কা ছিলই। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কী করণীয়, জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের কাছে তা লিখিত ভাবে জানতে চেয়েছিলেন পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার (ইও) বাসুদেব পাল। তবে শনিবার পর্যন্ত উত্তর আসেনি। ফলে ওই দিন কর্মীদের বেতন দেওয়া যায়নি। তবে বাসুদেববাবুর আশ্বাস, “সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।” বিষয়টি নিয়ে আজ, সোমবার খড়্গপুরের মহকুমাশাসক আর বিমলা’র সঙ্গে দেখা করতে পারেন পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার।
আজই দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি নিয়ে পুর-কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হতে পারেন কর্মীরা। এক কর্মীর কথায়, “বেতন নিয়ে আগে কখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি।” খড়্গপুর পুরসভায় ২৯৭ জন স্থায়ী কর্মী, অস্থায়ী কর্মী ৭৯ জন। মাস পয়লায় বেতন না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন সকলেই। অনাস্থা-জটের জেরেই এই পরিস্থিতি। কংগ্রেসের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়েছে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পুর-দফতর থেকে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ আসেনি। এই পরিস্থিতিতে চেকে কে সই করবেন, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। নিয়মানুযায়ী, চেকে পুরপ্রধান সই করেন। সঙ্গে এক্সিকিউটিভ অফিসারেরও সই থাকে। তবে এখন পুরপ্রধান নিজে সই করবেন, না তাঁর হয়ে উপপুরপ্রধান সই করবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অনাস্থা নিয়ে পুর-দফতর থেকে স্পষ্ট নির্দেশ চলে এলে, এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। কারণ, পুর-দফতর যদি জানায়, অনাস্থা পাশ হয়নি, তাহলে পুরপ্রধান সই করতে পারেন। আবার পুর-দফতর যদি জানায়, অনাস্থা পাশ হয়েছে, তাহলে উপ-পুরপ্রধান সই করতে পারেন। কারন, অনাস্থা পাশ হয়ে গেলে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে পুরপ্রধান নির্বাচনের মিটিং করতে হয়। তখন পুরপ্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরের সমর্থন না পেলে তখনই নতুন পুরবোর্ড তৈরি হয়। আর এই সময়ের মধ্যে পুরসভার কাজকর্ম দেখভাল করেন উপ-পুরপ্রধান। খড়্গপুর পুরসভার ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পুর-দফতর থেকে কী নির্দেশ আসে, সকলেই সে দিকে তাকিয়ে। |
|
|
|
|
|