টুকরো খবর
১০ কোটি টাকার বীজ-আলু আটক
ধনেখালির একটি হিমঘরে বেআইনি ভাবে মজুত করা ভিন্ রাজ্যের ৮০ হাজার প্যাকেট (এক প্যাকেটে ৫০ কেজি) বীজ-আলু বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। যার বাজারদর প্রায় ১০ কোটি টাকা বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের অনুমান, ‘নিম্ন মানে’র ওই বিপুল পরিমাণ বীজ-আলু আগামী মরসুমে ভাল বীজ-আলুর সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রির জন্য মজুত করা হয়েছিল। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন চাষিরা। যে হিমঘর থেকে ওই আলু মেলে, সেই হিমঘরের লাইসেন্সের মেয়াদ গত ৩১ জানুয়ারি ফুরিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “জেলার আর কোনও হিমঘরে এ রকম বেআইনি ভাবে আলু রাখা আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” তবে পুলিশ সূত্রে খবর, হুগলির অন্তত ৬-৭টি এবং পশ্চিম মেদিনীপুর ও বর্ধমানের বিভিন্ন হিমঘরেও বহুজাতিক সংস্থা এবং পঞ্জাবের ব্যবসায়ীরা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আলু রেখেছেন। অবিলম্বে অভিযান চালানো হবে সেখানেও। রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “বেআইনি ভাবে আলু বীজ মজুত করা হলে পুলিশ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। হুগলির জেলাশাসকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে।” কৃষি বিপণন দফতর সূত্রের খবর, বীজ-আলু রাখার ক্ষেত্রে ১৯৬৬ সালের ‘বীজ নিয়ন্ত্রণ আইন’ অনুসারে আলুর কার্যকারিতা (ট্যাগিং) সংক্রান্ত বিশদ তথ্য বস্তায় লেখা থাকার কথা। যদিও এ দিন ধনেখালির হিমঘর থেকে বাজেয়াপ্ত করা বস্তাগুলিতে ‘ট্যাগিং’ এবং প্রয়োজনীয় শংসাপত্র নেই বলে তদন্তকারীদের দাবি।

হামলাকারীদের সামলাতে এ বার জবরদস্ত দাওয়াই হুগলি পুলিশের
অত্যাধুনিক সেই জলকামান। ছবি: তাপস ঘোষ।
দাঙ্গা দমনে অত্যাধুনিক একটি জলকামান আনল হুগলি জেলা পুলিশ। জল ছোড়ার পাশাপাশি এই গাড়িতে বসানো ক্যামেরা বাতলে দেবে হামলাকারীদের অবস্থান। ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাজ্য সরকার জল-কামানটি কিনেছে বলে জেলার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী জানান। পুলিশ জানিয়েছে, কামানটির জলধারণ ক্ষমতা এগারো হাজার লিটার। এ জন্য পৃথক ৩টি ট্যাঙ্ক রয়েছে। একটিতে থাকবে সাধারণ জল। একটিতে থাকবে রঙিন জল। এই রঙিন জল হামলাকারীদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়লে একদিকে যেমন তারা আহত হবে, তেমনি তাদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রেও ওই রঙ বিশেষ সহায়ক হবে। কেননা, দিন পনের পরেও সেই রঙের ছাপ শরীরে থেকে যাবে। তৃতীয় ট্যাঙ্কের জলে মেশানো থাকবে বিশেষ রাসায়নিক। এই জল গায়ে পড়ামাত্র চুলকানি শুরু হয়ে যাবে। ফলে, ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হবে না হামলাকারীদের পক্ষে। বড় কোনও গোলমাল হলে তবেই ব্যবহার করা হবে এই ‘অস্ত্র’। জেলার পুলিশকর্তাদের দাবি, ঘটনাস্থলের ১০০ মিটার চৌহদ্দির মধ্যে হামলাকারীদের কাবু করতে খুব বেশি সময় লাগবে না এই কামানের। ট্যাঙ্কভর্তি জল ছাড়াও গাড়িতে লাগানো রয়েছে একটি ডিজিট্যাল ক্যামেরা। এই ক্যামেরার মাধ্যমে হামলাকারীদের অবস্থান ফুটে উঠবে গাড়ির ভিতরে থাকা কম্পিউটারের পর্দায়। চালকের পাশাপাশি এক জন অপারেটর থাকবেন গাড়িতে। পুলিশ সুপারের দাবি, “রাজ্যে হুগলিতেই প্রথম এই ধরনের গাড়ি এল। স্রেফ এক জন অপারেটরের মাধ্যমেই বহু হামলাকীরার মোকাবিলা সম্ভব হবে। আমাদের অনুমান বড় কোনও আইন শৃঙ্খলা জনিত সমস্যা ঠেকাতে এই কামানের জুড়ি নেই।”

‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’, তৃণমূল কর্মী প্রহৃত গোঘাটে
‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের’ জেরে ফের গোঘাটে প্রহৃত হলেন এক তৃণমূল কর্মী। রবিবার সকালে গোঘাটের অনুপনগর গ্রামে তৃণমূল নেতা ফরিদ খানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত সাহারাব খান নামে ওই দলীয় কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল ই দলেরই নেতা আতাউল হক-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আতাউল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহারাব বাবুরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ দিন তিনি অনুপনগরে একটি দোকানে চা খেতে যান। সেই সময়ে আতাউল ও তাঁর দলবলের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। তার পরেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সাহারাবকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহারাবের ডান হাত ভেঙে গিয়েছে। সাহারাব বলেন, “আতাউলের ছেলেরা ইন্দিরা আবাস প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছ থেকে অন্যায় ভাবে টাকা চাইছিল। তার প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করা হয়।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আতাউলের দাবি, “মিথ্যা অভিযোগ। আমি অসুস্থ। তিন দিন ধরে বাড়িতে রয়েছি।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই সাহারাব সাধারণ মানুষের থেকে তোলা আদায় করছে। তাই সাধারণ মানুষই তাঁকে মেরেছে। তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে দলের অনুশাসন মানবে না তাঁকে দল থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

দুষ্কৃতী খুন বোমায়
আড্ডা চলাকালীন বচসার জেরে এক দুষ্কৃতীকে বোমা মেরে খুন করল তারই সঙ্গীরা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে হুগলির ভদ্রেশ্বর থানায় চাঁপদানিতে জিটি রোডের ধারে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রাজু সাউ (২৮)। তার বাড়ি ওই এলাকাতেই। শনিবার রাত ১২টা নাগাদ সে একটি চায়ের দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল। তখনই ওই ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজুকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

আরামবাগ মহকুমা সুপার লিগ ফুটবল
আরামবাগ মহকুমা সুপার লিগ ফুটবলের রবিবারের খেলায় বিদ্যুৎ অ্যাথলেটিক ক্লাব ৪-০ গোলে হারিয়ে দিল আরামবাগেরই রাগপুর সবুজ সঙ্ঘকে। সুভাষ রক্ষিত ২টি, লক্ষ্মীকান্ত পণ্ডিত ১টি এবং রাজু সরেন ১টি গোল করেন। শনিবারের খেলায় আরামবাগের দক্ষিণ রসুলপুর নেতাজি সুভাষ সঙ্ঘ ১-০ গোলে হারায় গোঘাটের খাটোগ্রাম মনসামাতা ক্লাবকে। গোলটি করেন সুরজিৎ সরেন। ‘এ’ গ্রুপের এই দু’টি খেলাই হয় আরামবাগের জুবিলি পার্ক মাঠে। খেলাটি পরিচালনা করছে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা।

জয়ী মলয়পুর হাইস্কুল
আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে ও মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার পরিচালনায় আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল আরামবাগের মলয়পুর হাইস্কুল। শনিবার আরামবাগ জুবিলি পার্ক ময়দানে মলয়পুর হাইস্কুল গোঘাটের বালিবেলা হাইস্কুলকে টাইব্রেকারের মাধ্যমে ৫-৩ গোলে পরাজিত করে। ২য় বর্ষে পা দেওয়া এই প্রতিযোগিতায় এবছর মোট ১৬ টি স্কুল অংশগ্রহণ করেছিল।

জিতল সিটু
হাওড়ার বাউড়িয়া নর্থমিলের ওয়ার্কস কমিটির ১০টি আসনের মধ্যে ৮টিতে জিতলেন সিটুর প্রার্থীরা। বাকি দু’টি আসনে জিতেছে আইএনটিইউসি। রবিবার নির্বাচন হয়। আইএনটিটিইউসি, সিটু এবং আইএনটিইউসি-র মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়। এ ছাড়াও ছয়টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল আইএনটিটিইউসির আরও একটি গোষ্ঠী। তাঁরা জোড়া গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে লড়াই করেছিলেন। প্রসঙ্গত, গতবারেও ওয়ার্কস কমিটি ছিল সিটুর দখলে।

মেধা অন্বেষণ
রবিবার উলুবেড়িয়ার রঘুদেবপুর কে এন পি সি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল বিজ্ঞান মেধা অন্বেষণ পরীক্ষা। বিভিন্ন স্কুলের ৭২০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। ব্যবস্থাপনায় ছিল রঘুদেবপুর নেতাজি সংঘ।

ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু
ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পথচারীর। শনিবার বিকেলে পুড়শুড়ার শ্রীরামপুরে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম কাশীনাথ কর (৫০)। বাড়ি স্থানীয় ফতেপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, ওই প্রৌঢ় হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে মাটি বোঝাই ট্রাক্টরটি ডালায় তাঁর ধাক্কা লাগে। আহত ওই প্রৌঢ়কে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে সেখানেই তিনি মারা যান। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে।

বন্দি উধাও
পায়ে প্লাস্টার নিয়েই হাওড়া জেলা হাসপাতালের দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে এক বন্দি রবিবার রাতে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানায়, পলাতক বন্দির নাম জাকির হোসেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.