আমাদের চিঠি

পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠুক সামতাবেড়ে
শরৎচন্দ্রের বসতভিটে। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।
হাওড়া জেলার সামতাবেড়েতে কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি। যেখানে তিনি জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়ে ছিলেন। এইখানেই রচনা করে গেছেন বহু কালজয়ী উপন্যাস। তাই আজও প্রায় সারা বছর ধরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ তাঁর এই বাড়িটিকে দেখতে আসেন। স্বাভাবিক ভাবেই পযর্টকদের ভিড় বাড়ে শীতকালে। সেই সময় শরৎচন্দ্রের বাড়ির পাশে রূপনারায়ণের তীরে মনোরম পরিবেশে চলতে থাকে পিকনিক। তাই এই জায়গাটি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার আদর্শ পরিহেশ রয়েছে। এই বিষয়ে মাননীয় কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী সুলতান আহমেদ মহাশয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মানবতার অবমাননা
উত্তরপ্রদেশে সীতাপুর জেলার বসন্তপুর গ্রামে এক মৃতদেহের আচ্ছাদনবস্ত্র পা দিয়ে সরাতে দেখা গেল এক পুলিশ আধিকারিককে। পিটিআই-এর তোলা ছবি দেখে আতঙ্কিত হলাম (আঃবাঃ ১৯/৭)। এ হল মানবতার চরমতম অবমাননা। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই কিন্তু সমস্যার মূলে পৌঁছনো যাবে না। পুলিশের মধ্যে মানবতা ও মানবাধিকার সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা না-থাকায় এমন ঘটনা ঘটে। আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত না-হওয়া অবধি একজন ব্যক্তি অভিযুক্তই থাকে, অপরাধী নয়। কিন্তু অভিযুক্তদের প্রতি পুলিশ হামেশাই ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অমানবিক আচরণ করে থাকে। সমগ্র দেশের পুলিশ বাহিনীকে মানবতা তথা মানবাধিকার বিষয়ে শিক্ষিত করে তোলা প্রয়োজন।
হকার সমস্যার প্রতিকার চাই
শিয়ালদহ-গেদে লাইনের মাজদিয়া স্টেশন নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। এর ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। প্রাচুর্য বা বৈভব না থাকলেও মফস্সলের এই ছোট্ট স্টেশনটি মডেল স্টেশন হিসাবে চিহ্নিত হতে পারে। সে কথা অনেকেই মেনে নিয়েছেন। নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত মাজদিয়া। এর উপর দিয়ে স্টেশনের মাঝ বরাবর কর্কটক্রান্তি রেখার অবস্থান। প্রাচীন তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, নেতাজি সুভাষ, গাঁধীজি, রবীন্দ্রনাথ মাজদিয়া স্টেশনের উপর দিয়েই বাংলাদেশ ও বিভিন্ন জায়গায় গেছেন। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক একটি পর্যটন কেন্দ্রিক জায়গা। বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানের ম্যাপ বা মানচিত্র উক্ত স্টেশনে থাকা উচিত। সাহিত্যিক বিমল মিত্র থেকে শুরু করে অনেক গণ্যমান্য মানুষের স্মৃতিধন্য এই স্টেশন। ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এই স্টেশনের উপর দিয়েই যায়। স্টেশনে প্রতিদিনই হকার ও ভেন্ডারে সমস্যায় জর্জরিত যাত্রী সাধারণ। তাঁদের কোনও নিরাপত্তা নেই। মহিলাদের কোনও ওয়েটিংরুম নেই। প্রতিদিনই চুরি-ছিনতাই বাড়ছে। মাননীয় রেল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটু নজর দিন।
পুরসভা উদাসীন
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া স্টেশন রোডের উপর বে-আইনি ভাবে অসংখ্য সব্জি বিক্রেতা, মাছ ব্যবসায়ী ও মেশিন ভ্যান চালকেরা একসঙ্গে ভিড় করে যাতায়াত করায় পরিস্থিতি দিন দিন ভয়ানক হয়ে উঠছে। স্টেশন রোড হওয়ায় তমলুক-পাঁশকুড়া ও অন্যান্য রুটের বাসগুলোর এখান দিয়ে যাতায়াতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ফলে, জ্যামের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তখন পর পর সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। শুধু ফুটপাথ নয়, মেন রাস্তার অর্ধেক জুড়ে এদের সংসার। পথচারী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতে ভীষণ অসুবিধা হয়। পাঁশকুড়া পুরসভা ব্যবস্থা নেবে না কেন?
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণনাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.