রামপুরহাট স্টেশন থেকে তারাপীঠ। মাত্র ৯ কিলোমিটার এই রাস্তার অটো ভাড়া ৩০ টাকা! এই তথ্য জেনে ক্ষুব্ধ খোদ রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। শনিবার সপরিবারে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে এসে এ ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, “রাজধানী কলকাতা বা তার সংলগ্ন এলাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যানে যেখানে ৯ কিমির জন্য ১৫ টাকা ও ১৯ কিমির জন্য ২৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়, সেখানে রামপুরহাট থেকে তারাপীঠ ৯ কিমি রাস্তার অটো বা ট্রেকার বা ম্যাজিক গাড়িতে যাত্রী পিছু ৩০ টাকা ভাড়া কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না!” রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের এই মন্ত্রী এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
ভাড়া নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রামপুরহাট-তারাপীঠ যোগাযোগ ব্যবস্থা পাকা করতে সরকারি বাস চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। মদনবাবু বলেন, “রাস্তা ছোট হওয়ায় বড় বাস চালানো যাবে না। তাই দশ বা কুড়ি আসন বিশিষ্ট বাস চালু করা হবে।” এই নতুন বাস পরিষেবাটি চালু করতে রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতর উদ্যোগ শুরু করছে বলে জানালেন তিনি। রামপুরহাট-তারাপীঠ রুটের ভাড়া নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে অটো, ট্রেকার ও অন্যান্য যানবাহনগুলির ইউনিয়নগুলিকে কলকাতায় আলোচনার জন্য ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন মদনবাবু। অন্য দিকে, তারাপীঠে স্থানাভাব থাকলেও পৃথক বাস ও অটো স্ট্যান্ড গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ দিন মন্ত্রী আরও জানান, বাস স্ট্যান্ড তৈরির খাতে রাজ্য পরিবহণ দফতর জেলাপ্রশাসনকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু টাকা অনুদান দিয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, তারাপীঠে আসার রাস্তা সংস্কার ও রাস্তার দু’ধারে আলোর ব্যবস্থা করা হবে।
এ দিনই বিগত বামফ্রন্ট সরকারকে দায়ী করে তিনি দাবি করেন, “কোনও রকম নিয়ন্ত্রণ, নিয়মনীতি না মানার চল থাকায় অটো ও অন্যান্য যানবাহনের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। রাজ্যে অটো-রাজ কায়েম হয়েছে।” বেআইনি অটোর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে মদনবাবু বলেন, “আমরা ক্ষমতায় আসার পর পরিবহণ-সমস্যা মেটাতে একটি নীতি নির্ধারণ কমিটি গঠন করেছি। বেআইনি যান নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছি। পরিবহণ দফতরের ভিজিল্যান্স বা এনফোর্সমেন্ট বিভাগ স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় বেআইনি ও নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করবে।” |