বাণিজ্যিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণ দেখিয়ে কাটোয়ার শ্রীখণ্ডে এক কাগজকল বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে কাজ করতে গিয়ে কর্মীরা দেখেন, কারখানার গেট বন্ধ। সামনে সাঁটানো রয়েছে এই বিজ্ঞপ্তি। কাটোয়ার মহকুমাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম বলেন, “কাটোয়ার সহকারী শ্রম আধিকারিককে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। তিনি কারখানা কর্তৃপক্ষ ও কর্মী, দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সমস্যা না মিটলে প্রশাসন সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে।” |
বর্ধমান-কাটোয়া রাস্তায় বছর পনেরো আগে তৈরি হয় এই কাগজকলটি। বর্তমানে কর্মীর সংখ্যা ৬০। কারখানার ডিরেক্টর কানাই দেবনাথের দাবি, “আমাদের সঙ্গে কর্মীদের কোনও বিবাদ নেই। গত পাঁচ বছর ধরেই মিলটি লোকসানে চলছে। আমরা আর চালাতে পারছি না।” সিটুর অবশ্য দাবি, বেতন পরিকাঠামো ঠিক করার জন্য তারা মালিকপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট শ্রম কমিশনার, মহকুমাশাসককেও তা জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই কর্তৃপক্ষ এমন বিজ্ঞপ্তি দিল। সিটুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “কাজ বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত তুলে নেওয়া হোক। পাশাপাশি, বেতন নিয়ে আলোচনাও চলুক।” আজ, সোমবার মহকুমাশাসকের কাছে তারা এ ব্যাপারে স্মারকলিপি দেবে বলে সিটুর তরফে জানানো হয়েছে।
তৃণমূল নেতা সৌমেন্দ্রনাথ দে-র দাবি, “এ ভাবে কাজ বন্ধ রাখার নোটিস দিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায় করছে মালিকপক্ষ।” শ্রীখণ্ড পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের দীপক মজুমদারের কাছেও কাজ বন্ধের বিজ্ঞপ্তির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। দীপকবাবু বলেন, “শ্রমিকদের স্বার্থে মিল খোলার দাবি জানানো হয়েছে।” |