হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে গণ্ডগোল বাধল কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে। তার জেরে বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ। রবিবার কেতুগ্রামের আগড়ভাঙা হাই মাদ্রাসায় ঘটনাটি ঘটে। তৃণমূলের অভিযোগ, বোমার আঘাতে তাদের এক কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের এজেন্টদের তাড়িয়ে দিয়ে বুথ দখল করেছে। এই ঘটনায় আগড়ভাঙা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দাসকে আটটি বোমা-সহ আটক করেছে পুলিশ। সিপিএম অবশ্য এই নির্বাচনে কোনও প্রার্থী দেয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এই নির্বাচনকে ঘিরে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে গোলমাল চলতে হতে পারে বলে প্রথম থেকেই আশঙ্কা ছিল পুলিশের। তাই এ দিন কাটোয়ার এসডিপিও ধ্রুব দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী প্রথম থেকেই মোতায়েন ছিল ঘটনাস্থলে। ছিলেন কেতুগ্রাম ১ বিডিও ধ্রুব দাসও। এ দিন মোট ৪৫৬ জন ভোটারের মধ্যে ৩৫৬ জন অভিভাবক ভোট দেন। ৬টি আসনের মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত আসনটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে তৃণমূল। বাকি ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কংগ্রেস ও তৃণমূল।
পুলিশ জানায়, নির্বাচন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ‘সাহায্যকারী’ ভোটার নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। তৃণমূলের কেতুগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি রত্নাকর দে-র অভিযোগ, “খাসপুর গ্রামের বাসিন্দা আমাদের দু’জন কর্মীকে লক্ষ করে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে।” তাঁর দাবি, “বোমার আঘাতে হারুন কাজি নামে এক জন জখম হয়েছেন। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেসের কেতুগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি তরুণ মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা অভিযোগ, “পুলিশের সামনে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এক তরফা বোমাবাজি করেছে।বুথে ঢুকে আমাদের এজেন্টদের মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে।” পুলিশের বিরুদ্ধে ‘নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তোলেন তিনি।
এসডিপিও (কাটোয়া) ধ্রুব দাস অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) তরুণ হালদার বলেন, “ভোট শুরুর সময়ে গোলমাল হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |