সমবায়ের পরিচালন সমিতি ভোটের পরেই অশান্তি হল মন্তেশ্বরের বাঘাসনে। টহলরত পুলিশকর্মীদের লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে তিন পুলিশকর্মী জখম হন।
রবিবার বাঘাসন পঞ্চায়েতের হোসেনপুর কৃষি সমবায় সমিতিতে ভোট ছিল। সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল, প্রত্যেকে ৯টি করে আসনেই প্রার্থী দেয়। সকাল থেকেই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিকেল ৩টে নাগাদ ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। পুলিশ জানায়, গণনা শুরু হওয়ার কিছু আগে সমবায় কেন্দ্র থেকে খানিকটা দূরে কয়েক জন পুলিশকর্মীকে লক্ষ করে ইট ছুড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। রণজিৎ ভট্টাচার্য, শ্যামসুন্দর মণ্ডল, শেখ সাইদুল নামে তিন জন পুলিশ কর্মী আহত হন। তাঁদের মাথা, পেট ও পায়ে আঘাত লাগে। তাঁদের মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়। ঘটনাস্থলে যান কালনার এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার-সহ কয়েক জন পুলিশ আধিকারিক। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “অভিযান চলছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হবে।”
গণ্ডগোলের পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ওই কেন্দ্রে ভোটগণনা শুরু হয়। রাত ৮টা নাগাদ ফল বেরোয়। ৯টি আসনেই জয়ী হন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা নুর আলমের দাবি, সিপিএমের সঙ্গে সমঝোতা করে এই ভোটে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। তাঁর অভিযোগ, “সকাল থেকেই সিপিএমের একটি সশস্ত্র বাহিনী এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। তারাই ভোট বানচালের চেষ্টা করে। পুলিশ কড়া হাতে তা দমন করার চেষ্টা করলে তারা আক্রমণ করে।”
মন্তেশ্বরের কংগ্রেস নেতা জ্যোতির্ময় মণ্ডল অবশ্য বলেন, “সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে লড়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।” তাঁর দাবি, সম্প্রতি কড়া পুলিশি পাহারায় তারাশুশুনিয়া স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচন হওয়ায় সেখানকার কিছু সিপিএম কর্মীর পুলিশের উপর রাগ ছিল। তারাই এ দিন হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সিপিএম অবশ্য হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের মন্তেশ্বর জোনাল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, তাদের কোনও কর্মী বা সমর্থক এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন।
এ দিনই মন্তেশ্বরের দেনুড় পঞ্চায়েতের সমিতির পাতুন সমবায়ের পরিচালন সমিতির ভোটে সিপিএমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬টি আসনেই জেতে তৃণমূল। |