এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর কাজ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শিখা কর্মকারের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরের ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার ইছাপুরের এই ঘটনায় সিডিপিও-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমাশাসক আয়েষা রানি এ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সাল থেকে ইছাপুরের মুসলিম পাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করছেন ময়নাদেবী। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার শিখাদেবী কেন্দ্রে এসে তাঁর কাছ থেকে কাগজপত্র কেড়ে নেন। এর পরে শনিবার সকালে তাঁর জায়গায় কর্মী হিসেবে নিজেই কাজ করতে আসেন শিখাদেবী। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার বাসিন্দারা শিখাদেবীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ক্ষোভের মুখে পড়ে শিখাদেবী চলে যান। বাসিন্দাদের দাবি, ময়নাদেবী দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। তাঁকেই তাঁরা অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের কর্মী হিসাবে দেখে আসছেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি হয়ে এমন কাজ কেউ করতে পারেন, তা কল্পনাতীত।”
শিখাদেবীর দাবি, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের প্রকৃত কর্মী তিনিই। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি নির্বাচিত হওয়ার সময়ে শর্ত সাপেক্ষে ময়নাদেবীকে কাজ ছেড়ে যান। এখন আবার সেই কাজ ফিরে পেতে শনিবার তিনি ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার কিছু লোকজন।
মহকুমাশাসক অবশ্য জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজ এ ভাবে কেউ কাউকে দিতে পারেন না বা ফিরিয়েও নিতে পারেন না। তিনি বলেন, “পুরো বিষয়টি দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের সিডিপিও-কে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |