রাস্তা সংস্কার, চাল বিলি থেকে জলের পাইপলাইন বসানো, জামুড়িয়া পুরসভার বিরুদ্ধে নানা কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সৈয়দ আমির। বিষয়গুলি জানিয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে চিঠিও পাঠিয়েছেন বলে তাঁর দাবি।
সৈয়দ আমিরের অভিযোগ, তালতোড় থেকে জামবাদ পর্যন্ত রাস্তা দরপত্র ডেকে দু’ভাগে ঠিকাদার সংস্থাকে কাজ দেওয়া হয়েছিল। ১৬০০ মিটার রাস্তায় বোল্ডার ও মোরাম ফেলার কথা থাকলেও কার্যক্ষেত্রে কাজ হয়েছে ২০০ মিটারে। অন্য দিকে যে ২০০০ মিটারে মাটি কাটা হয়েছে তাতেও বিধি মানা হয়নি বলে তাঁর দাবি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সর্বদল বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, ‘জিআর’ চাল সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিলি-বণ্টন করা হবে। কিন্তু চাল মজুত হয়ে পড়েই রয়েছে। বর্ষা শেষ হতে চললেও ২৫০টি ত্রিপল পুরভবনে পড়ে রয়েছে। তাঁর দাবি, “এর পর দেখা যাবে, ত্রিপল বিলি নিয়েও স্বজনপোষণ হয়েছে। প্রকৃত দাবিদারেরা তা পাননি।” বিভিন্ন কাজের বরাত ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। |
বীজপুরে বেহাল রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র। |
সৈয়দ আমিরের আরও অভিযোগ, তথ্য জানার অধিকার আইনে পুরকর্তাদের কাছে লিখিত ভাবে এই সব বিষয়গুলি নিয়ে জানতে চাইলেও পুর কর্তৃপক্ষ তা জানাননি। তাঁর কথায়, “১৯৯৫ সালে পুরসভা গঠন হলেও পুরভবন যাওয়ার প্রধান রাস্তার দু’দিকে কোনও নর্দমা তৈরি হয়নি। বৃষ্টি পড়লেই বর্জ্য এসে জমা হচ্ছে রাস্তায়। অথচ তা সাফাইয়ের কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে নানা রোগের সম্ভাবনাও বাড়ছে। পুর কর্তৃপক্ষ উদাসীন।”
এ ছাড়াও তিনি জানান, দু’বছর আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সহায়তায় জলপ্রকল্প নির্মিত হয়েছে। অথচ প্রায় ৯টি ওয়ার্ডে পাইপলাইনই বসেনি। যেখানে পাইপলাইন বসেছে, সেখানেও জল সরবরাহের পরিষেবা অনিয়মিত বলে তাঁর অভিযোগ। সৈয়দ আমিরের কথায়, “সব থেকে বেশি জলসঙ্কট জামুড়িয়া শহরের বাইপাস ও পরিহারপুর এলাকায়।” রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বিষয়গুলির তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
জামুড়িয়ার পুরপ্রধান সিপিএমের ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ সব ব্যাপারে পুরসভার কাছে এখনও কোনও অভিযোগ পৌঁছয়নি। তা পেলে খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। |