অবরোধ তুলতে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল পুলিশ।
শনিবার দুপুর থেকে তারই জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের পাতলাখাওয়া এলাকা। গোলমালের সময় পুলিশের দু’টি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। অবরোধকারীদের একাংশের ছোড়া ইটপাটকেলে জখম হয়েছেন ৭ পুলিশ কর্মী। তাঁদের মধ্যে মাথায় আঘাত পেয়েছেন এএসআই অজয় বিশ্বাস। এলাকায় র্যাফ নামানো হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় র্যাফ নামানো হয়েছে। কয়েকজনের খোঁজ চলছে।” |
চলছে হামলা। কোচবিহারে হিমাংশুরঞ্জন দেবের তোলা ছবি। |
শুক্রবার পাতলাখাওয়া হাইস্কুলে ঢুকে এলাকার এক যুবক কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। শনিবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে স্কুল পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠক চলার সময় কয়েকশো গ্রামবাসী স্কুল লাগোয়া এলাকায় জমায়েত করেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরেই একঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবিতে কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার মহকুমার সোনাপুরের রাস্তা অবরোধ শুরু করেন ছাত্র ও অভিভাবকেরা।
বেলা ১টা নাগাদ অবরোধ শুরু হয়। এতে দুই দিকে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ অবরোধ তুলতে যায়। পুলিশের কাছেও অবরোধকারীরা এক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি করতে থাকেন। তা নিয়ে বাদানুবাদ থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল বৃষ্টি শুরু হয়।
|
তখন উত্তেজনা। শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজে। ছবি: কার্তিক দাস। |
পাতলাখাওয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব আচার্য বলেন, “গতকাল স্কুলে ঢুকে এলাকার যে যুবক কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করেন তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। সেই সময় ছাত্র, অভিভাবকেরা অবরোধ শুরু করেন।” স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক আজমল হক বলেন, “অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য সময়সীমা নির্দিষ্ট করা নিয়েই অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের মতবিরোধ শুরু হয়।” |