টুকরো খবর
বামফ্রন্টের মিছিলে যানজট
শিলিগুড়িতে বামফ্রন্টের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মিছিল। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
বামফ্রন্টের ডাকা ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী’ মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ হল শিলিগুড়ি শহর। শনিবার বিকালে বাঘাযতীন পার্কে একটি সভার পর মিছিলটি বার হয়। হিলকার্ট রোড হয়ে মিছিলটি মাল্লাগুড়ির ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা মিছিলের জেরে তীব্র যানজট দেখা দেয়। হিলকার্ট রোডের ‘ওয়ানওয়ে’র একপাশ দিয়ে মিছিলটি গেলেও ট্রাফিক পুলিশকে যানজট সামলাতে হিমসিম খেতে হয়। অফিস এবং কাজ ফেরৎ বহু বাসিন্দা আটকে পড়েন। হাসমিচক, সেবক মোড়, এয়ারভিউ মোড়, সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাসের সামনে লম্বা গাড়ির লাইন পড়ে যায়। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) ওজি পাল বলেন, “বড় মিছিল ছিল। যতটা সম্ভব শহরের গতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করেছি।” সাম্রাজ্যবাদ যুদ্ব বিরোধী মিছিলে পুরোভাগে ছিলেন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার বামফ্রন্টের নেতারা। রাজ্যের কলকাতা এবং শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে মিছিলটি হয়েছে। পাশাপাশি, প্রতি জেলায় ছোট ছোট মিছিল করেছেন বাম নেতারা। দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “শুধু মিছিল নয়, মহামিছিল হয়েছে। ২০ হাজারের উপর মানুষ অংশ নিয়েছে। রাস্তা ধরে মিছিল যত এগিয়েছে তত মানুষ এতে সামিল হয়েছেন। যানজটে মানুষের কিছুটা সমস্যা হয়েছে ঠিকই। তবে শনিবার স্কুল-কলেজ, অধিকাংশ অফিস বন্ধ ছিল। তবে আমরা সুশঙ্খলভাবে মিছিল করেছি।” অশোকবাবু জানান, গোটা বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদীদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। রাজ্যেও তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাস চলছে। এর বিরুদ্ধেই রাজ্য বামফ্রন্টের নির্দেশে এই মহামিছিল।

নারী নির্যাতন রোধে পরামর্শ বিচারপতির
মহিলাদের উপর নির্যাতনের খবর পেলেই পর্যায়ক্রমে তিনটি স্তরে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত। শনিবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’, ‘চাইল্ড ট্রাফিকিং’ এবং ‘গ্যাং রেপ’ বিষয়ক একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিচারপতি। তিনি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রদের পরামর্শ দেন, কোথাও সন্তানের হাতে মা নির্যাতিত হচ্ছেন বা স্বামীর হাতে স্ত্রী অথবা নারী পাচারের মতো বিষয় চোখের সামনে পড়লে লোকাল পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানাতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশ সুপার এমনকী মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে অভিযোগ জানাতে হবে। বিচারপতি বলেন, “কোনও সময় যদি আপনাদের সামনে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানান। পিছিয়ে পড়া এলাকা থেকে যদি কোনও কিশোরীকে বাইরে ভাল কাজের কথা বলে কেউ নিয়ে যেতে চায় তা জানতে পারলে ওই ব্যপারে বিস্তারিত খোঁজ নিন। যে বাইরে নিয়ে যেতে চাইছে কি তার পরিচয়, সব জেনে অভিযোগ জানান। থানায় অভিযোগ না নিলে পুলিশ সুপারকে জানান। প্রয়োজনে আদালতে অভিযোগ করুন।”

নাবালিকার বিয়ে রুখল পুলিশ
এক নাবালিকার বিয়ে রুখল পুলিশ। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে নাবিলিকার বাবা ও পাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার চোপড়া থানার সোনাপুরের নলবাড়ি এলাকাতে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ে করতে না চাওয়ায় পড়াশুনো বন্ধ করে গত সাত দিন ধরে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বাড়িতেই আটকে রেখেছিলেন তার বাবা তমিজউদ্দিন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকারই এক বাসিন্দার সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। ভিড়ে ঠাসা বাড়িতে শুক্রবার রাতে বসেছিল মোহরের অনুষ্ঠান। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে চড়াও হয় পুলিশ। নাবালিকাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রথমে আটক পরে গ্রেফতার করা হয় নাবালিকার বাবা তমিজউদ্দিন ও পাত্র সাহিদকে। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে সেফ কাস্টোডিতে রেখেছে। বাল্য বিবাহ আইনে মামলা শুরু হয়েছে” পুলিশ জানাচ্ছে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাবা ধৃত তামিজউদ্দিন দিনমজুর। যে ছেলেটির সঙ্গে সালমার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল সেই সাহিদও দিনমজুর।

যুগলের দেহ উদ্ধার
পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে কিশোর-কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার মহাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের ডাঙ্গি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম ছোট সরেন (১৭) ও মাতিল মার্ডি (১৩)। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শুক্রবার মাতিলকে বিয়ে করে ছোট সরেন বাড়িতে গিয়ে উঠলে পরিবারের লোকজন তীব্র আপত্তি জানান। তখন দু’জনে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। বংশীহারী থানার আইসি অমিত পাল জানান, প্রাথমিক তদন্তের পর মনে হচ্ছে রাতেই ওই দুই প্রেমিক যুগল এলাকার এক পরিত্যক্ত মাটির বাড়িতে ঢুকে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়া মাতিল আজমতপুর অঞ্চলের মনোহলি এলাকার বাসিন্দা। বংশীহারীর ডাঙ্গি এলাকার বাসিন্দা ছোট ইটভাঁটায় শ্রমিকের কাজ করত। মনোহলিতে ছোট-র দিদির বাড়ি। সেখানে তিন বছর আগে মাতিলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ছোট-র মা শেফালি মুর্মু বলেন, “এত অল্প বয়সের বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিলাম। তাতে ঝগড়া করে ছেলে বাড়ি থেকে চলে যায়। এমন করবে ভাবতে পারছি না।”

ছাগলে খেল পান্তা, যুবক ‘খুন’ ইটাহারে
ছাগলে খেয়েছিল পান্তাভাত। তার জেরেই বচসা। পরিণতিতে ‘খুন’ হল এক যুবক। শনিবার দুপুরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় মাবুদ আলম (২৭) নামে ওই যুবক। ইটাহারের হাটগাছি এলাকার ঘটনা। শুক্রবার মাবুদের বাড়ির বারান্দায় থালায় পান্তাভাত রাখা ছিল। সেই পান্তাভাত তাঁর জেঠু কয়মত আলির ছাগল খেয়ে ফেলে বলে অভিযোগ। তা নিয়েই বচসা। রাতে তা নিয়ে হাতাহাতি হয়। ওই সময় জখম হন মাবুদ। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায় সে। জখম হয় তাঁর বোন লিপি খাতুন। সে মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। ইটাহার থানার ওসি গৌতম রায় বলেন, “অভিযুক্তেরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। তল্লাশি চলছে।”

নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ’ চাঁচলে
প্রতিবেশী চতুর্থ শ্রেণির এক বালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিঙোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গত মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটলেও শনিবার দুপুরে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। গত শুক্রবার সালিশি সভা ডাকা হয়। কিন্তু সালিশি সভায় অভিযুক্ত বা তার পরিবারের কেউ না আসায় পুলিশের দ্বারস্থ হন বালিকার মা। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। বালিকার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হচ্ছে।”

ট্রাক আটক
অসম থেকে কালচিনি যাওয়ার পথে আলুপুরদুয়ারে চাল বোঝাই একটি ট্রাক আটক করল প্রশাসন। শনিবার দুপুরে বনকর্মীরা ওই ট্রাকটিকে আটক করেন। ওই চাল পাচার করা হচ্ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নেতা খুন, ধৃত
মাথায় রডের আঘাতে খুন হলেন দার্জিলিং সদর থানার ভুটিয়া বস্তি এলাকার যুব মোর্চা নেতা ওয়াংদে ভুটিয়া (২৯)। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর বন্ধু সন্দীপ ছেত্রীকে।

পাচারকারীর মৃত্যু
বিএসএফের শুক্রবার রাতে গুলিতে মৃত্যু হল এক পাচারকারীর। গোয়ালপোখর থানার তিনগাঁও সীমান্তের ঘটনা। মৃতের নাম মহম্মদ হজেয়ুল (২৩)।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.