সিটু ও আইএনটিটিইউসি-র একযোগে বিক্ষোভ। আর তাতেই টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা কাজ পণ্ড হল বালির রাজচন্দ্রপুর টোল প্লাজায়। শনিবার সকালের ঘটনা। সিপিএম ও তৃণমূলের অনুগত ইউনিয়নের এই ‘বিরল’ জোটের সুবাদে অন্তত সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন টোলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
টোল প্লাজায় দ্বিতীয় বিবেকানন্দ সেতু ধরে যাতায়াতকারী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে সিসিটিভি-র নজরদারি সব কিছুই থমকে যায়। টোলওয়ে সংস্থার নিরাপত্তা মানেজার আশিস ভৌমিককে মারধর করা হয়েছে বলে বালি থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দ্বিতীয় বিবেকানন্দ সেতু টোলওয়েতে ৭২ জন কর্মী ট্রাফিক সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। টোলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বরাত পেয়ে একটি ঠিকাদার সংস্থা তাঁদের নিয়োগ করেছে। ওই কর্মীদের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে টোলওয়ে কর্তৃপক্ষের একটি নোটিসে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই বেসরকারি সংস্থাকে আর কাজের বরাত দেওয়া হচ্ছে না। তাই ৭২ জন কর্মীকেও চাকরিতে বহাল রাখা সম্ভব নয়।
টোলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন, ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের ‘দায়িত্ব’ তাঁদের কেন নিতে হবে। টোলওয়ে সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার সুমিত মুখোপাধ্যায় জানান, ওই ঠিকাদার সংস্থাই ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ করতে রাজি নয় বলে চিঠি দিয়েছিল। সংস্থার কর্মীরা তখন দাবি করেছিলেন, তাঁদের উপস্থিতির রেকর্ড টোলওয়ে সংস্থাকে রাখতে হবে। কিন্তু টোল কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হননি। সুমিতবাবু বলেন, “ওরা অন্য সংস্থার কর্মী, ওঁদের উপস্থিতির হিসেব আমরা কেন রাখব? তবে আমরা বলেছি, নতুন যে সংস্থা দায়িত্বে আসবে, তারা যাতে ওই ৭২ জন কর্মীর দায়িত্ব নেয়, সেই বিষয়ে চাপ রাখা হবে।” এই আশ্বাস পেয়েই বিক্ষোভকারীরা সরে যায়।
এ দিন সকালে সিটু ও আইএনটিটিইউসি এই দু’টি সংগঠনের কর্মীরা যৌথ ভাবে রাজচন্দ্রপুর টোল প্লাজায় বিক্ষোভ শুরু করেন। অফিসের মূল গেট বন্ধ করে কর্মীদের অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় ১৬টি বুথ থেকে টোল আদায়ও। আইএনটিটিইউসি-র স্বরূপ দত্ত ও সিটুর সুব্রত চক্রবর্তী—দুই নেতাই এক সুর। তাঁরা বলছেন, “টোলওয়ে চালুর প্রথম থেকেই কাজ করছি। মাঝে একবার ঠিকাদার সংস্থা পরিবর্তন হলেও আমরা বহাল ছিলাম। এ বারও আমাদের চাকরি থাকতেই হবে।” |