অশোকনগরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী আজমিরা খাতুনকে খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এ বার এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে শাসন সংলগ্ন খড়িবাড়ি এলাকা থেকে আরিফান বিবি নামে ওই মহিলাকে ধরা হয়। তার বাড়ি অশোকনগরের ছালারহাট এলাকায়। ওই এলাকারই বাসিন্দা ছিল আজমিরা। গত বুধবার সন্ধ্যায় এলাকার একটি পুকুর থেকে আজমিরার হাত বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় যুবক কুতুবুদ্দিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আরিফানকে গ্রেফতারের পরে পুলিশের দাবি, জেরায় ওই মহিলা জানিয়েছে, আজমিরা তার মেয়ে বর্ষা খাতুনকে প্রায়ই মারধর করত। বুধবার সন্ধ্যায় আজমিরা যখন বাড়ি ফিরছিল তখন আরিফান তার পথ আটকায়। সে আজমিরার গলা টিপে ধরে। আজমিরা মারা যায়। তারপর সে মৃতদেহটিকে একটি বস্তায় ভরে বাড়ির ভিতরেই রাখে। এরপর পাড়ার লোকজনের সঙ্গে আরিফান বিবিও আজমিরাকে খুঁজতে বের হয়। তার পর সুযোগ বুঝে পাশের পুকুরে সে আজমিরার দেহটি ফেলে দেয়। আজমিরার সোনার দুল আরিফান বিবির কাছ থেকেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। আরিফানকে শনিবার বারাসত আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
|
রেল লাইন পার হয়ে প্ল্যাটফর্মে উঠতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক কিশোরীর। তাঁর সঙ্গী এক মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে শ্যামনগর স্টেশনে। ওই দু’জনের সঙ্গী আরও এক মহিলা বেঁচে গেলেও ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় লোকেদের থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ওই তিন জন মহিলা একই পরিবারের এবং তাঁরা স্টেশনের পিছনের দিকের কোনও এলাকায় থাকেন। যিনি গুরুতর আহত হয়ে শ্যামনগরের গোলাঘর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁর মেয়েই ট্রেনের ধাক্কায় মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। রেল সূত্রে খবর, দুপুর সওয়া দু’টো নাগাদ শ্যামনগর স্টেশনের তিন নম্বর লাইন দিয়ে আপ তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস যাচ্ছিল। সেই সময় ওই তিন মহিলা রেল লাইন ধরে স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। এর পরে মা ও মেয়ে যখন প্ল্যাটফর্মে উঠতে যাবেন, তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এক্সপ্রেস ট্রেনটি দূর থেকেই হুইসেল বাজালেও তাঁরা শুনতে পাননি। ট্রেনটি একেবারে সামনে এসে গিয়েছে দেখে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো লোকজন চিৎকার করলেও ওই দুই মহিলার কানে তা পৌঁছয়নি। তার আগেই পিছন থেকে তাঁদের ধাক্কা মারে ট্রেনটি। ঘটনাস্থলেই কিশোরীটির মৃত্যু হয় এবং তাঁর মা জখন হন। এঁদের সঙ্গী মহিলাটি পাশের লাইনে থাকায় বেঁচে গিয়েছেন।
|
স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে বছর বারোর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার প্রতিবেশী এক কিশোরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের কাছে শুক্রবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় খানাকুলের নতিবপুরের বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে। ওই রাতেই বছর ষোলোর ওই কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার কথা পুলিশকে না জানানোর জন্য ওই কিশোরীর বাবাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কিশোরের বাবাকেও। শনিবার ধৃত কিশোরকে জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয়। তার বাবাকে হাজির করানো হয় আরামবাগ আদালতে। বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন।
|
চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার গাইঘাটার কড়োরা গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পাশের পুকুরের কাছে পাগল অধিকারী নামে ওই ব্যক্তি ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। শনিবার পাগলকে ধরে পুলিশ। |