এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে আরএসপি ও তৃণমূলের মধ্যে বোমা-গুলির লড়াইয়ে শনিবার বিকেলে তেতে ওঠে বাসন্তীর লেবুখালি গ্রাম। ঘণ্টাখানেকের এই লড়াইয়ে গুলিতে জখম হন তিন আরএসপি সমর্থক। বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে জখম হন আরও দু’জন। তিনটি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী, র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়। গোলমালের দায় দু’পক্ষই পরস্পরের ঘাড়ে চাপিয়েছে। তবে, রাত পর্যন্ত কোনও পক্ষই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামটিতে আরএসপি-র প্রভাব বেশি। এ দিন বিকেলে আচমকাই দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়। গুলিতে জখম হন আরএসপি সমর্থক মান্নান মোল্লা, আনারুল মোল্লা এবং আমির আলি মোল্লা। তিন জনকে বাসন্তী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। |
বোমার স্প্লিন্টারে জখম হন সাইফুল শেখ এবং মাজেদ সর্দার। দু’জনেই আরএসপি সমর্থক। তাঁদেরও ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। যে তিনটি বাড়িতে আগুন লাগানো হয়, তার মধ্যে দু’টি তৃণমূল সমর্থকদের, একটি আরএসপি সমর্থকের। এই গোলমালে গ্রামে আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে পালান। গত ২৮ মে একই কারণে গ্রামের ৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
শনিবার ঘটনা প্রসঙ্গে আরএসপি নেতা তথা বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মিন্টু ইসলামের অভিযোগ, “পঞ্চায়েত ভোটের জন্য তৃণমূল বাইরে থেকে লোক এনে এলাকা দখল করতে চাইছে। তারাই আজ আমাদের তিন সমর্থককে গুলি করে এবং এক সমর্থকের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।” আরএসপি-র এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। তাঁর দাবি, “বাইরে থেকে ওরাই সমাজবিরোধীদের এনে জড়ো করেছিল। আমাদের কর্মীরা তার প্রতিবাদ করেন। ওরা আমাদের এক সমর্থকের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও মারধর করে।” |