ঠাকরেরাও কিন্তু বহিরাগত, রাজকে তোপ দিগ্বিজয়ের
ঠাকরেরা নাকি মূলত বিহারেরই মানুষ। বিহার থেকে মধ্য প্রদেশের ধারে গিয়ে বসতি করেন। পরে মুম্বইয়ে পাকাপাকি বসবাস শুরু করেন। এই তথ্য বা তত্ত্ব শুনিয়েছেন মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। গত কাল বিহারিদের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ে ফের তোপ দাগেন রাজ ঠাকরে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল ঘোলা হতে শুরু করেছে। দিগ্বিজয় সেই প্রসঙ্গ টেনেই আজ এই তত্ত্ব খাড়া করে বলেন, “মুম্বই কার? কারও নয়। মুম্বইয়ের আসল বাসিন্দা তো কিছু জেলে পরিবার। বাকি সবাই বহিরাগত।”
সম্প্রতি মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানের ঘটনার জেরে মুম্বই পুলিশ বিহারের সীতামঢ়ী থেকে আব্দুল কাদির নামে ১৯ বছরের এক তরুণকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। কাদিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে নাকি আজাদ ময়দানের অমর জওয়ান জ্যোতিকে অসম্মান করেছে। বিহার পুলিশকে মুম্বই পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি বলে বিহার সরকারের অভিযোগ। বিহারের মুখ্যসচিব এ নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারকে একটি চিঠি লিখে বিহারের উষ্মার কথা জানিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই গত কাল রাজ ঠাকরে বলেন, “বিহারিরা মহারাষ্ট্রে অনুপ্রবেশকারী।” রাজের হুমকি বিহার সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে যদি মুম্বই পুলিশের কারও বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র সরকার ব্যবস্থা নেয় তবে তার দলের সদস্যরা বিহারি বিতাড়নে নামবে। রাজের এই বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে।
বিহারের সমস্ত রাজনৈতিক দলই রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে। জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেস তো আছেই, এমনকী বিহার বিজেপি-ও রাজ ঠাকরেকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। এক দিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বণের কাছে যেমন তারা রাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে, তেমনই এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাদের বক্তব্য, রাজ সংবিধানের মূল কাঠামোকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.