ভিড় সামলাতে পঞ্চমী থেকেই রাস্তায় পুলিশ |
খাতায়-কলমে পুজো ষষ্ঠীতে শুরু হলেও গত কয়েক বছর ধরে তার আগেই মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছেন আম-বাঙালি। ঠাকুর দেখার সেই নতুন ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়েই এ বার পুলিশি ব্যবস্থা রাখছে লালবাজার।
এত দিন কলকাতা পুলিশ ছিল সাবেক ব্যবস্থাতেই। ভিড়-গাড়ি সামলাতে রাস্তায় পুলিশ নামত ষষ্ঠীর রাতে। পুরোদমে ব্যবস্থা শুরু হতে হতে সপ্তমী পৌঁছে যেত। এ বারে সেখানে পঞ্চমী থেকেই পুলিশ নামবে রাস্তায়। শনিবার কলামন্দিরে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠকে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম এ কথা জানিয়েছেন। পুজোয় যে ভিড়ের চরিত্র বদলাচ্ছে, সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
কেন এই ব্যবস্থা? পুলিশ কর্তাদের একাংশের কথায়, গত কয়েক বছরে চতুর্থী বা পঞ্চমীর সন্ধ্যায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নাকাল হয়েছিলেন দর্শনার্থীরা। মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় সামলাতে পুলিশ ছিল না। যানজট সামলাতেও যথেষ্ট পুলিশ রাস্তায় ছিল না। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এ বার পুজোয় আগেভাগেই মাঠে নামছে পুলিশ। এ দিন বৈঠকে শহরের শ’খানেক পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠকে পুলিশের পাশাপাশি হাজির ছিলেন দমকল, কলকাতা পুরসভা, সিইএসসি এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারাও।
শুধু ভিড় নয়, পুলিশের অন্যতম মাথাব্যথা গত কয়েক বছর ধরে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলা যানবাহনের চাপও। পুলিশ কর্তারা বলছেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ শহরতলির বিশাল এলাকা কলকাতা পুলিশের আওতায় এসেছে। তার মাস খানেকের মধ্যেই পুজো পড়ে যাওয়ায় ওই এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এ বারে তাই ওই এলাকায় আরও পরিকল্পনা করে মাঠে নামছে ট্রাফিক বিভাগ।
এ দিনের বৈঠকে উঠে এসেছে আমরি-কাণ্ডও। পুজো উদ্যোক্তাদের সতর্ক করে দেন দমকলের ডিজি দুর্গাপ্রসাদ তারেনিয়া। বিশেষ করে, যে সব পুজো মণ্ডপে বাতানুকূল ব্যবস্থা থাকে, সেগুলির ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা নিরাপদ করতে অনুরোধ করেন তিনি। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে বলে দমকল কর্তারা জানান। রাস্তার উপরে উঁচু গেট করার নিষেধাজ্ঞা থাকছেই।
পুলিশ জানিয়েছে, পুজোর অনুমতি পাওয়ার ফর্ম ইতিমধ্যেই থানাগুলি থেকে বিলি করা হচ্ছে। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত পুরসভার বরো অফিসগুলিতে সেই ফর্ম জমা নেওয়া হবে। |