ত্রিফলা আলো বিতর্কের জেরে নির্দেশিকা |
পুরো প্রকল্পের জন্য দরপত্র চাইতে হবে পুরসভাকে |
কলকাতা পুরসভার কোনও কাজের বরাত ছোট ছোট ভাগে দেওয়া যাবে না। গোটা প্রকল্পের জন্যই দরপত্র চাইতে হবে। ত্রিফলা আলো নিয়ে বিতর্কের জেরে পুরকর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, কোনও দফতর ওই নির্দেশ উপেক্ষা করে কাজ করলে সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ত্রিফলা আলো লাগানোর কাজে ২৭ কোটি টাকার কাজকে পাঁচ লক্ষ টাকার কম ৫৪০ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়েছে পুরসভা। এর জেরে ওই প্রকল্পে সমস্ত আর্থিক লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে। কমিশনারের নির্দেশে পুরসভার অর্থ দফতর সব কিছু খতিয়ে দেখে এই ব্যাপারে অনিয়ম পেয়েছে। অথর্র্ দফতরের রিপোর্ট দেখে পুর কমিশনার প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যুগ্ম কমিশনারকে। পাশাপাশি, ত্রিফলা আলো কী ভাবে কম দামে পাওয়া যায়, তা-ও দেখতে বলেছেন। কারণ, অভিযোগ উঠেছে, ত্রিফলা আলো তৈরি করে রাস্তায় বসাতে যা খরচ হওয়ার কথা, পুরসভা তার চেয়ে বেশি খরচ করেছে।
পুর সচিবালয় সূত্রের খবর, শুক্রবার মেয়র পারিষদদের বৈঠকে এই নিয়ে সদস্যদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। কার্যত দু’ভাগে ভাগ হয়ে যান সদস্যেরা। বৈঠকে কমিশনার ও অর্থ দফতরের রিপোর্টের প্রতিলিপি সদস্যদের দেওয়া হয়। তা দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এক দল সদস্য। ওই রিপোর্ট থেকে তাঁরা জানতে পারেন, বড়সড় ওই প্রকল্পকে ছোট ছোট ভাগে ভেঙে বরাত দেওয়া হয়েছে, যা নিয়মবিরুদ্ধ। তা নিয়ে পুরসভার বিজ্ঞপ্তিও ছিল। কিন্তু ডিজি (আলো) গৌতম পট্টনায়ক সেই নিয়ম মানেননি। বৈঠকে ওঠা নানা প্রশ্নের কোনও সদুত্তর না মেলায় এক সময় ডিজি গৌতমবাবুকে বৈঠক থেকে চলে যেতে বলা হয়। এর পর তাঁকে শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নেন মেয়র পারিষদেরা। প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ভার দেওয়া হয় পুর কমিশনারকে।
শনিবারও বিষয়টি নিয়ে চাপান-উতোর চলে পুরসভার অন্দরে। মেয়র পারিষদ (আলো) মনজার ইকবাল দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন গৌতমবাবুকে নিয়ে। যদিও গৌতমবাবু এ নিয়ে কোনও কিছু বলতে চাননি। |